Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী গোষ্ঠীর শাস্তি চায় কুবি শিক্ষক সমিতি

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:৩১ পিএম

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির 'বি ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষার মিথ্যা তথ্য সরবারহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্র্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
মানববন্ধনে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষা আমাদের অহংকার ও অস্তিত্বের বিষয়। বিগত দিনে কখনো ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। গত কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা নিয়ে আমরা আশাহত। যারা তথ্য সরবরাহ করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির কাছে যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একটি পক্ষকে হেয় করার জন্য এমন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ কুকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এ আশ্বাস যেন অন্য সব আশ্বাসের মত ঝুলে না থাকে।’‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। আশা করছি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর গণমাধ্যমে ‘ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় ১২তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে ৩ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে ‘বি’ ইউনিট কমিটির কোন রকম জালিয়াতি তদন্ত কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়নি বলে জানায়। পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকের ভুলেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে অসামঞ্জস্যটি সংঘঠিত হয় বলে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হয় বলে জানান তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ