Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সওজ’র জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নয়

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসারে ঐতিহ্যবাহী জুনাব আলী কলেজ গেইটের সামনে সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা ও বাজার উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কলেজের সামনে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা এ অবৈধ বাজারের কারণে যানজট সৃষ্টিসহ প্রতিষ্ঠানটির প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিনই ভোগান্তি ও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসারে সওজ এর জায়গায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর হাট বাজার পরিচালিত হয়ে আসছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির হাট নিমসারে ইজারার মাধ্যমে বাজার পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট করে জায়গা বরাদ্দ থাকার পরও একটি চক্র ঐতিহ্যবাহী জুনাব আলী কলেজ গেইটের সামনের ও আশপাশের অংশ দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলে হাট-বাজার সৃষ্টি করেছে। নিমসার এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ সেপ্টেম্বর মাসে দখল হওয়া অংশের মাত্র ২০ ভাগ উচ্ছেদের পরই হঠাৎ অভিযান স্থগিত করে। কয়েকদিন না যেতেই ওই ২০ ভাগে ফের অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। সবজি বাজারের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে যে অংশে বেশি দখলদার রয়েছে এটি নিমসার জুনাব আলী কলেজের সামনে।
কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মামুন মিয়া মজুমদার জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজের সামনে বাজার বসায় কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সারাদিন হৈ-চৈ লেগে থাকে। সবজি ও বাজারের ময়লা আবর্জনা কলেজ মাঠে ফেলা হচ্ছে। কলেজের সামনের ও আশপাশের অংশ থেকে অবৈধ বাজার উচ্ছেদের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে আবেদনও করেছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল আলম গত ২৩ সেপ্টেম্বর অবৈধ বাজারটি অপসারণের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। সে আলোকে গত ২৪ নভেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট কলেজের সামনে থেকে আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বিধিসম্মতভাবে উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুড়িচং কুমিল্লাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরুল হাসান বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনা পাইনি।হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরও বলেন, কলেজের সামনে বাজারের জায়গা নেই।
এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা। এখানে বাজার বসার কোনো সুযোগ নেই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ জানান, মাস দুয়েক আগে নিমসার এলাকায় মহাসড়কের পাশে বাজারের কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সওজ

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ