Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই

বিবিসিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না বরং ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে গতকাল বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বরং ভারতের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায়। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। এদেশের নিয়ম হচ্ছে, ধর্ম নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব সকলের। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। তিনি আরো বলেন, আমরা বলতেই পারি যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভালো। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে দাবি করেন যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামায় ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। লোকসভায় এ বিল পেশ করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই তিন দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছে। বিলটি লোকসভায় পাস হয়ে গেছে। শাহ লোকসভায় বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের ভারতে নাগরিকত্ব দেয়ার লক্ষ্যেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলটি আনা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে লোকসভায় বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে তা ঠিক না। নাগরিক বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারত কী করল সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেটা তারা জানেন। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা খুব শান্তি এবং স¤প্রীতিতে আছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। মন্ত্রী বলেন, এদেশের নিয়ম হচ্ছে, ধর্ম নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব সকলের। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বরং ভারতের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায়।

এদিকে, কূটনৈতিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ‘শ্রেষ্ঠ সময়’ বা ‘সোনালি অধ্যায়ে’র মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের নেতারা প্রায়ই দাবি করে থাকেন। অমিত শাহের এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্কে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, আশা করছি বন্ধুত্বপ‚র্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। সম্পর্ক নষ্ট করতে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলে প্রত্যাশা করছি। বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না, যা উভয় দেশের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হয় কিংবা আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী সব কারণে অমিত শাহ এগুলো বলেছেন তা তাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি এখনো বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ