Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুদক্ষ পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়তে চাই

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুদক্ষ ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়তে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে যুগোপযোগী করতে চাই এবং একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উন্নত ট্রেনিং দিয়ে একটি উন্নত দেশের মতো শক্তিশালী বাহিনী গড়তে চাই। গতকাল রোববার ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০১৯ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০১৯-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন একটা চমৎকার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তিনি ১৯৭৪ সালে আমাদের প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে গেছেন। তারই আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছি। সেনাবাহিনীর জন্য নতুন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় থেকে শুরু করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সেনানিবাসও গড়ে তুলেছি নতুন কয়েকটি। যেটা দেশের জন্য যখন প্রয়োজন আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ আমরা চাই একটা পেশাদার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠা করতে।

পরিবর্তনশীল বিশ্বে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেনিং এবং সমরাস্ত্র সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন এবং আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে আমরা সেটা জোগাড় করে দিচ্ছি এবং তৈরি করছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় জনগণের পাশে থেকে অবদান রাখায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের জনগণের সেবা করা আমাদের সবারই দায়িত্ব। কারণ জনগণের অর্থেই আমাদের বেতন-ভাতা, যা কিছু, সবই সাধারণ মানুষের অর্থে। কাজেই তাদের জীবন সুন্দর করাটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ এবং সফলতার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ। ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে ৮৫ জন এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে ৩৮ জন অংশগ্রহণ করেন। এসব প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সউদী আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, মালি, নাইজার এবং বাংলাদেশের প্রশিক্ষণার্থীরা ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশ নেন।

আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা পর্ষদের এ যৌথ সভায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, বিইউপি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ