Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী নিজের ঘরের দিকে তাকান না--- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘খন্দকার মোস্তাকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোক ছিলেন জিয়া। যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত না-ই থাকবেন, তবে খন্দকার মোস্তাক তাকে কেন সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন?’ 

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই বহু নেতা তাদের আত্মতৃপ্তির কথা বলেছিলেন। তাদেরই একজন আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে থাকাবস্থায় বলেছিলেন যে, “ফেরাউনের পতন হোক”। এমনকি খন্দকার মোশতাকের শপথ বাক্য পাঠ করান তৎকালীন মন্ত্রীপরিষদ সচিব এইচটি ইমাম। আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সিনিয়র উপদেষ্টা। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ পরবর্তীতে মালেক উকিলসহ হত্যাকান্ডের সমর্থনকারী বহু নেতাই তো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। আজকে নিজের ঘরের দিকে তাকান না প্রধানমন্ত্রী। আমি বলবো আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন আর ভাবুন যে কারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন?
গতকাল সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন বাতিলের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর বাড্ডায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১১ টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালী টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় পুলিশ মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক অভিযোগ করেন।
এসময় মিছিলে অন্যদের মধ্যে মহানগর উত্তর বিএনপির আহসানুল্লাহ হাসান, এজিএম শামসুল হক, এবিএম আবদুর রাজ্জাক, তাজুল ইসলাম, আব্দুল কাদের বাবু, নূরুল ইসলাম কাজী, তুহিন, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, হারুনুর রশিদসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন।
মিছিল শেষে রিজভী বলেন, জিয়া কারো বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। জনগণের মাঝে শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা অত্যন্ত উঁচুমানের। তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ