Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পেট্রোবাংলা-বাপেক্সের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের কাজে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।গতকাল রোববার রাজধানীর কাওরান বাজারে বাপেক্স ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দুই সংস্থার বেশিরভাগ কর্মকর্তাই কাজে আগ্রহ দেখান না। সংস্থা থেকে বের হয়ে যওয়ার পর তারা নানারকম উদ্ভাবনের কথা বলেন। এর কারণ খুঁজে বের করা দরকার।জিওলজিক্যাল ফিল্ড সার্ভে ফর হাইড্রো কার্বন এক্সপ্লোরেশন ইন বাংলাদেশ: প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস এবং ড্রাই অ্যাবেন্ডেন্ট অ্যান্ড সাসপেন্ডেন্ট ওয়েলস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড রি ভিজিট ফর ফারদার এক্সপ্লোরেশন শীর্ষক দুটি ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন করেন। ম্যানুয়াল দুটি উপস্থাপন করেন বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক অহিদুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাপেক্সকে আমরা কাজ দিচ্ছি না এমন প্রশ্ন তোলেন অনেকে। আসলে আমরা তো বাপেক্সকে পুরো বাংলাদেশ দিয়ে রেখেছি। কিন্তু, তাদের কাজের গতি কম। গতি বাড়িয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নসরুল হামিদ বলেন, যতবারই তাদের জিজ্ঞেস করা হয় কাজ করছেন না কেন, ততবারই তারা বলেন, হ্যাঁ স্যার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু প্রস্তুতি আর শেষ হয় না, কাজও হয় না। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে লিডারশিপ থাকতে হবে। আপনাদের জনবল আছে, তাদের কাজে লাগাতে হবে। এটাই আপনাদের চ্যালেঞ্জ। না হলে আমরা বাইরে থেকে যত চেষ্টাই করি না কেন, সম্ভাবনাময় কাজ দেখতে পাবো না। তিনি বলেন, আগে বাপেক্স অনেক বড় বড় কাজ করেছে। কিন্তু, এখনকার অবস্থা ভালো না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। পেট্রোবাংলার অবস্থাও একই। ফলপ্রসূ কোনও ভ‚মিকা তো দেখি না তাদের।
বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের অক্ষমতার দায় নেবে না সরকার। আমরা আপনাদের কাজের মূল্যায়ন করবো। করতে না পারলে কাজ বিদেশি কোম্পানির হাতে যাবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে গ্যাসের কোনও অনুসন্ধান হয়নি। সেখানে সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ বছর আগে একটি কোম্পানি আগ্রহ দেখালেও কাজ হয়নি। একই স্ট্রাকচার ভারতের যেসব এলাকা আছে, সেখানে তারা একের পর এক ক‚প খনন করছে আর গ্যাস পাচ্ছে। ২০১০ সালে সবশেষ চারটি বøক বানিয়ে যৌথ কোম্পানি করার কথা বলা হলেও গত ৯ বছরে বাপেক্স কি কোনও আগ্রহী কোম্পানি খুঁজে পায়নি? গ্যাসের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে পেট্রোবাংলা এবং বাপেক্সকে মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে এখনই। নানা সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও এলএনজি আমদানি নিজেদের অযোগ্যতাই প্রমাণ করে। জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, এখনই তালিকা করে ঠিক করতে হবে আমাদের কী আছে, কী নেই। তালিকার পর কী পারবো আর কী পারবো না তা ঠিক করতে হবে। না পারলে সেটা কীভাবে করা দরকার তাও ঠিক করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে হলে অ্যাকশন প্ল্যানের কোনও বিকল্প নেই। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বাপেক্স ১৫টি ক‚প খনন করে ৬টিতে গ্যাস পেয়েছে। এটি বিশ্বের জন্য অনেক বড় বিষয়। বিশ্বে নতুন প্রযুক্তি আসছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে আলোচনা চলছে।আমরা কাজ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ