Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোথাও নেই বিএনপি ‘হামরা সবাই আওয়ামী লীগ বাহে’

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার (রংপুর থেকে ফিরে): ‘হামরা সবাই আওয়ামী লীগ বাহে। আওয়ামী লীগ করি। হামাকগুলাক পুুলিশ কিছু কবার পাবার নয়। যামরা (যারা) আউমিলীগ (আওয়ামী লীগ) করে না তাদের খবর আছে! পুলিশোক ট্যাকা দেওয়্যা নাগবে (লাগবে)। ট্যাকাও নেয়, পেংটির ডাঙ্গও দেয়। পুলিশের ঠ্যাঙ্গানী এবং হামলা-মামলার ভয় থাকি বাঁচপার জন্য আওয়ামী লীগোত গেছি। এ যুগোত আওয়ামী লীগ ছাড়া বাঁচার য়ুঁপায় নাই বাহে।’
রংপুরের পুরনো শহর মাহিগঞ্জের সাতমাথা মোড়ের শহীদ মিনারের সিঁড়িতে বসে এভাবেই নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিলেন এক আম বিক্রেতা। ফুটপাতে ‘হাড়িভাঙ্গা’ আম বিক্রি করেন তিনি। বললেন, যতগুলা দোকানদার দেখছেন, সবাই হামরা আওয়ামী লীগ করি। কোথাও বিএনপি পাবেন না। যে দল করলে ভাল থাকমো সেই দল করমো; পুলিশী দৌউরানি নাই। হামাকগুলাক কাম করি খাওয়া নাগে (লাগে); হামার কিসের আজনীতি (রাজনীতি)? এরশাদোক ভোট দিয়া বিপদোত পড়চিনো।
এখন ভোট না দিয়াই বিপদ! ২১ জুন ইফতারের এক ঘণ্টা আগে সাতমাথার হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রেতা যে গ্রামগঞ্জের বর্তমান রাজনীতির হাটেহাড়ি ভেঙে দিয়েছেন তা বোঝা গেল কয়েকটি হাট-বাজারে পরিচিত-অপরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলেই। রংপুরের গ্রামগঞ্জে এখন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের অস্তিত্ব নেই। কোথাও বিএনপি নেই। যারা বিএনপি করতেন তারা হয় ‘খামোশ’ নয়তো খোলস পাল্টিয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি? এরশাদের নাম শুনলেই মানুষ থু থু করে। পারিবারিক ও সামাজিক কারণে প্রতিবছর রমজানের মাঝামাঝি গ্রামের বাড়ি যেতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রংপুর শহরের পূর্বদিকে ৩০ কিলোমিটার এবং তিস্তা নদীর কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমের সেই গ্রামে যেতে চোখে পড়ল গ্রামীণ জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন। মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামের দৃশ্যপট। নানাপন্থা-কর্মকৌশল এবং চালাকি করে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছে মানুষ। পুলিশী জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা এবং অযাচিত ঝামেলা এড়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘আওয়ামী লীগ’ হওয়ার যেন হিড়িক পড়ে গেছে। শুধু ওই গ্রাম নয়, আশপাশের গ্রাম এবং পীরগাছা, কাউনিয়া উপজেলার শত শত গ্রামের প্রায় একই চিত্র। খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেল রংপুর বিভাগের ৮ জেলার হাজার হাজার গ্রামের চিত্র প্রায় অভিন্ন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে গাইবান্ধার তুঁলসিঘাট পর্যন্ত প্রায় একই অবস্থা। সবার মধ্যে আওয়ামী লীগার হওয়ার চেষ্টা। সাধারণ মানুষ এবং যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের সবার মধ্যে আওয়ামী লীগ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তোলার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ করেন না এমন কোনো কন্ট্রাক্টর উন্নয়ন কাজ পেয়েছেন এমন কোনো নজির নেই। যে দু-চারজন পান তারা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে।
রংপুর এখন ভুতুড়ে শহর। প্রতিরাতে পুলিশি অভিযান লেগেই আছে। গ্রেফতার, জেলে পাঠানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ। তরুণ-যুবক দেখলেই মনে করা হয় শিবির। গ্রামগঞ্জ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা মেসবাড়িতে থাকলেই মনে করা হয় শিবিরের মেস। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে ছিল উল্টো চিত্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, একসময় এরশাদের প্রতি সাধারণ মানুষ খুবই দুর্বল ছিল। ’৯১ সালে লাঙ্গলে ভোট দেয়ার কারণে তৎকালীন বিএনপি সরকার রংপুরে কাবিখা, টেস্ট রিলিফসহ রাষ্ট্রীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিএনপির ওই শাসনামলে রংপুরের কোথাও দু-চারটি ব্রিজ-কালভার্ট এবং রাস্তাঘাট হয়েছে এমন তথ্য নেই। লাঙ্গলে ভোট দেয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার বৃহত্তর রংপুরের ৫ জেলাকে একঘরে করে রেখেছিল দীর্ঘ ৫ বছর। গ্রামগঞ্জের অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের ধারণা ছিল ফাঁসির রশ্মি থেকে বাঁচানোয় এরশাদ তাদের দিকে তাকাবেন। কিন্তু ২৬ বছরে এরশাদ তার বোন, দুই ভাই, বোনের স্বামী, ভাতিজা ও স্ত্রীকে এমপি-মন্ত্রী বানানো ছাড়া রংপুরের মানুষের কোনো কাজে আসেননি। সে ক্ষোভ থেকে মানুষ ‘লাঙ্গল’ থেকে সরে গেছে। আনপ্রেডিক্টেবল এরশাদের ভেল্কিবাজির রাজনীতির কারণে তার নাম শুনলে মানুষ ছি-ছা করেন। কিন্তু জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল হওয়ায় আওয়ামী লীগের দিকে যাননি। এখন টিকে থাকার লক্ষ্যেই জাতীয়তাবাদকে বিসর্জন এবং ইসলামী মূল্যবোধকে সিঁকেয় তুলে নৌকায় ওঠার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম। রমজানে রোজা রাখেন না গ্রামে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্রাম ও মহল্লার মসজিদকেন্দ্রিক সমাজগুলোতে প্রতিদিন কেউ না কেউ রোজাদার ও তারাবির নামাজিদের ইফতার দাওয়াত খাওয়ান। রংপুর শহর, মাহিগঞ্জ, পীরগাছা হাট, পাওটানা হাট, তাম্বুলপুর হাট, সাতদরগা হাট, বড়দরগা হাট, নেকমামুদ, কাউনিয়া হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ঝুট-ঝামেলা এড়িয়ে শুধু টিকে থাকতেই মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগ হওয়ার প্রচণতা বাড়ছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়ার প্রতিবাদে মানুষ পথে নেমেছিল; রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে প্রাণ দিয়েছে। আবার ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে। আন্দোলনে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলেছে, মাসের পর মাস পথঘাট বন্ধ করে আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে। অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। পরবর্তীতে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় হামলা মামলায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামের মানুষ। কিন্তু আন্দোলনকারী বিএনপি প্রাণ হারানো পরিবারগুলোর কোনো খোঁজ নেয়নি। পাওটানা হাটের একজন জানান, ওই সময় অবস্থা এমন ছিল যে সবকিছু দিল আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউ একা পথে বের হতে সাহস পেতেন না। পিটুনির ভয়ে কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। আবার কেউ ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ ছিলেন। হাট-বাজার করার প্রয়োজন পড়লে কয়েকজন মিলে একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। নতুন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নানা মামলায় পুলিশি গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু হয়। দলমত নির্বিশেষে চলে পুলিশি নির্যাতন। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ধরে এনে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। যাদের কাছে টাকা পাওয়া যায় না তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। রংপুর শহর এবং উপজেলা শহরগুলোতে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। পুলিশি গ্রেফতার ভীতি পেয়ে বসে সাধারণ মানুষকে। পুলিশি জুলুম এড়তে অনেক পরিবার পরিবারের তরুণ-যুবক সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ওপর শুরু হয় মহানির্যাতন। পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতারা মিলে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করেন। ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে বিএনপিসহ সমমনা দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন; হাজার হাজার নেতাকর্মী হন বাড়িছাড়া। অথচ বিএনপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব কারো কোনো খবর নেননি। পুলিশী গ্রেফতার বাণিজ্য ও নির্যাতনের ভয়ে সাধারণ মানুষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তা নেয়ার চেস্টা করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তা পান আবার কোনো কোনো এলাকায় স্থানীয় থানা ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে অর্থ উপার্জন করা হয়। পরিস্থিতি এমন যে, পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ নেতারা ‘উনি আওয়ামী লীগ করেন’ বা ‘...আমাদের লোক’ অথবা ‘অমুক রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজ করতে পারেন না’ ইত্যাদি স্লিপ ইস্যু করলেই পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। অন্যদের টাকার বিনিময়ে ছাড়ে অথবা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠায়। এ কারণেই সাধারণ মানুষ, হাট-বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কৃষক-মহাজন সবাই আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে পড়েন। অতীতে যারা যে দলের সঙ্গেই যুক্ত থাকেন না কেন তাদের মধ্যে এখন ‘আওয়ামী লীগ’ হওয়ার ঝোঁক। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলে তাদের অযাচিত ঝামেলায় পড়তে হয় না। পুলিশি গ্রেফতার এড়ানো যায়। আর অনায়াসে কৃষক কার্ড পাওয়া যায়।
এই যে কৃষকদের সহায়তার জন্য ‘কৃষি উপকারণ সহায়াতা কার্ড’ চালু করা হয়। এখন আওয়ামী লীগ হলে সে কার্ডের মাধ্যমে কিছু ধান ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা যায়। জানা যায়, কৃষকদের সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড’ বিতরণ করা হয়। প্রকৃত কৃষকদের সে কার্ড দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃত কৃষকদের অধিকাংশই সে কার্ড পাননি। কৃষকরা যখন লোকসান দিয়ে বোরো ধান বিক্রি করেন তখন সরকার ধানের মণ ৯২০ টাকা বেধে দেয় এবং সরকারি গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়ের ঘোষণা দেয়। ৫ মে থেকে ধান ক্রয়ের ঘোষণা দেয়া হলেও ওই সময় কৃষকের কাছ থেকে ধান নেয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই কৃষকরা প্রতিমনে আড়াইশ থেকে ৩শ টাকা লোকসান দিয়ে উৎপাদিত ধান বিক্রি করেছে। সে ধান এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে ক্রয় করছে খাদ্য গুদাম। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, চাতাল মালিক, চালকল মালিক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং কিছু ফরিয়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এখন ধান কিনছে। সেই ধান ক্রয় নিয়ে তেলেসমাতির খবর মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। ওই কৃষক কার্ড পাওয়ার জন্যও অনেক কৃষক আওয়ামী লীগার হয়ে যাচ্ছেন। ২১ থেকে ২৩ জুন তিন দিন রংপুরের সাধারণ ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শেকড় পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কার্যত আওয়ামী লীগের ভিড়েছেন কৌশলগত কারণে। পুলিশি জুলুম নির্যাতন এবং আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের চাঁদাবাজী থেকে বাঁচতেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গেছেন। আর বাস্তবতা হলো রংপুরের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের রাজনৈতিক দলের ‘সরব’ উপস্থিতি নেই। এই যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলো তাতে যারা নৌকা প্রতীকে ভোট করে চেয়ারম্যান হয়েছেন তাদের অধিকাংশই নব্য আওয়ামী লীগার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন; সমর্থন করতেন এবং রাজনীতিই করতেন না তারা পুলিশী জুলুম নির্যাতন এবং গ্রেফতার থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠে চেয়ারম্যান-মেম্বার হয়েছেন। ১৯৪৯ থেকে বংশ পরম্পরায় আওয়ামী লীগ করেন ওই ভোটের বিরোধের কারণে এমন অনেক পরিবার নৌকা থেকে ছিটকে পড়েছেন। বিতর্কিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিকল্প রাজনীতি না থাকা এবং আওয়ামী লীগ পরিচয় দিয়ে ভাল থাকা যায় এমন মানসিকতা সৃষ্টি হয় মানুষের মধ্যে। ২৩ জুন প্রচ- বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে এক মার্কেটে আশ্রয় নিলে বোঝায় যায় প্রকৃত অর্থেই রংপুরের মানুষের মধ্যে এখন আওয়ামী লীগ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েকজন তরুণ সেখানে দাঁড়ানো। তারা একে অপরের সঙ্গে গল্পগুজব করছেন। তাদের কথায় বোঝা যায়, শুধু পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানি এড়াতেই তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। একজন জানালেন, আওয়ামী লীগ করলেই পুলিশি নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অতএব হামরা সবাই এখন নৌকায় উঠেছি।



 

Show all comments
  • Habib ২৬ জুন, ২০১৬, ১:১১ পিএম says : 0
    thanks to the writer for his brilliant writing
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোথাও নেই বিএনপি ‘হামরা সবাই আওয়ামী লীগ বাহে’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ