Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্রিটেনের বিদায় নিয়ে নোংরামি নয় : মারকেল

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনে গত বৃহস্পতিবারের গণভোট রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এতো বছরের সম্পর্কের মাঝেও যেন শুরু হয়েছে একধরনের টানাপড়েন। ইইউ ছাড়ার পক্ষে গণভোট পড়লেও এখন ব্রিটেন বলছে, তারা কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধীরে-সুস্থে, সময় নিয়ে নিজেদের বিদায় প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। যদিও ইইউ বলছে, প্রক্রিয়া শুরু হতে দীর্ঘসূত্রিতা হলে এটি তাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। তবে ইউরোপের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী নেতা জার্মানির আঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, ব্রিটেনকে অহেতুক দ্রুতগতির সঙ্গে কাজ করতে তাড়া দেয়ার পক্ষে তিনি নন। মারকেল বলেছেন, ব্রিটেনের এই বিদায় প্রক্রিয়া নিয়ে যে আলাপ-আলোচনা হবার কথা সেটি নোংরা বানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এদিকে ব্রিটেনের ইওরোপিয়ান কমিশনার লর্ড হিল ইতোমধ্যেই নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কারণ পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে তিনি আর স্বপদে বহাল থাকা যৌক্তিক মনে করছেন না। তবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য তিনি আরো কয়েক সপ্তাহ পরে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ইউরোপের রাজনৈতিকদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, ইউরাপীয় ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ফরাসি অর্থমন্ত্রী এমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, ইইউকে একটি নতুন রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন বলেন, ইইউর এখন দরকার শক্তি পুনরুদ্ধার করা এবং যেখানে জাতীয় সরকার বেশি শক্তিশালী সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। এদিকে কিছু ব্রিটিশ নাগরিক এখন ভোটের ফলাফল বাতিলের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব দিচ্ছেন। লেবার পার্টির এমপি ডেভিড ল্যামি বলেছেন, পার্লামেন্টের উচিত এই পাগলামি বন্ধ করা এবং এই গণভোট অনুমোদন দেয়া উচিত নয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় দফা গণভোটের দাবিতে বিশ লাখ সাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে যারা ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন ‘তোমরা হেরেছ, সুতরাং এটা মেনে নাও। এই পরিস্থিতিতেই ইইউর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বুধবার। সেখানে অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন উপস্থিত থাকবেন না। তার আগে মি. ক্যামেরন ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশের নেতাদের সাথে আলাদা করে আলোচনায় বসবেন।
এদিকে, ইউর প্রতিষ্ঠাকালীন ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন তাদের এখন কি করণীয় তা ঠিক করতে। সেখান থেকে তারা ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়ার লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের মন্ত্রিপরিষদ ব্রিটেন থেকে পৃথক হওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় এক গণভোটের আইনি প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণভোটের দু’দিন পর জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, লাক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বার্লিনে এক আলোচনায় বসেছিলেন। জরুরি এই বৈঠক থেকে ব্রিটেনের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে, ইইউর সাথে আলোচনা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেরে ফেলার জন্যে। বৈঠক শেষে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। কারণ তাদেরকে ইউরোপের ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেনের বিদায় নিয়ে নোংরামি নয় : মারকেল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ