Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ আটে আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৭ পিএম

ক্যাসিনো কান্ডে বিধ্বস্ত মতিঝিলের ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে বড় জয়ে ‘এ’ গ্রুপ সেরা হয়েই টিভিএস ফেডারেশন কাপের শেষ আটে জায়গা পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের পর তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো আবাহনী ও নবাগত বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের একমাত্র ম্যাচে আবাহনী ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আরামবাগকে। বিজয়ী দলের পক্ষে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা, স্থানীয় ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন, ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ও বদলি ফরোয়ার্ড ফায়সাল আহমেদ শীতল একটি করে গোল করেন। আরামবাগের পক্ষে একমাত্র গোলটি শোধ দেন ফরোয়ার্ড মুরাদ হোসেন চৌধুরী। এই জয়ে আবাহনী দু’ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া পুলিশ রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টারে গেলেও টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে আরামবাগ।

আবাহনী ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মো. সোহেল রানাকে নিয়ে জট সৃষ্টি হয়েছিল। এই তিন ফুটবলার নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আবাহনীতে খেলায় আদালতের দ্বারস্ত হয়েছিলেন রাসেল কর্তারা। ফলে আদালত তিন খেলোয়াড়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তবে গত মঙ্গলবার অবকাশকালীন আদালত সেই নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ জারি করার ফলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পেয়ে আরামবাগের বিপক্ষে খেলতে নামেন রায়হান হাসানরা। তবে প্রথম একাদশে ছিলেন না অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মো. সোহেল রানা।

ম্যাচে যথারীতি জ্বলে ওঠেন আবাহনীর ফুটবলাররা। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়ে একের পর এক গোল আদায় করে নেন। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নবাগত পুলিশকে ৪-০ গোলে হারিয়ে এবার মৌসুম শুরু হয় আবাহনীর। ফেডারেশন কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার তারা আরামবাগকেও বিধ্বস্ত করে।

ক্যাসিনো কান্ডে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আরামবাগ ক্লাব। একেবারে সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল ক্লাবের মূল ফটক। সভাপতি একেএম মমিনুল হক সাঈদ দেশের বাইরে। ফলে এবারের মৌসুমে দল গড়া নিয়েই শংকায় ছিলেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। যদিও শেষ দিনে (২০ নভেম্বর) কোনও রকমে দলবদল করে আরামবাগ। তাই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাদের এই ফল অনেকটাই অনুমেয় ছিল। যদিও ম্যাচের শেষ দিকে কিছুটা জেগে উঠে এক গোল শোধ দেয় মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ছিল ঢাকা আবাহনী। খেলা শুরুর মাত্র ৯ মিনিটেই নাইজেরিয়ান সানডের করা গোলে এগিয়ে যায় তারা (১-০)। তবে ব্যবধান বাড়াতে আবাহনীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন (২-০)। পাঁচ মিনিট পর ডিফেন্ডার নাসিরের গোলে বড় জয়ের আভাস দেয় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা (৩-০)। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০’তে।

আর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডের পরিবর্তে মাঠে নেমেই ম্যাচের ৮০ মিনিটে আবাহনীর পক্ষে পঞ্চম গোল করেন ফয়সাল আহমেদ শীতল (৫-০)। তবে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৮৫ মিনিট এক গোল শোধ দেয় আরামবাগ। আগের ম্যাচে পুলিশের বিপক্ষে আত্মঘাতি গোল পেলেও আবাহনীর বিপক্ষে শেষ মূহুর্তে মুরাদ এবারের মৌসুমে আরামবাগের হয়ে প্রথম গোল করেন (১-৫)। বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবাহনী

১০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ