Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোদির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৮ পিএম

ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাশ্মীর সমস্য সমাধানে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেস সদস্য প্রমীলা জয়পাল, তার সতীর্থ রশিদা তালেব এবং সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর (প্রত্যেকেই ডেমোক্র্যাট) কঠোর সমালোচনা করে চলেছেন মোদি সরকারের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয়রাও যোগ দিচ্ছে এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে। শনিবারও ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসে গান্ধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখায় প্রায় ১৫০জন ছাত্র-ছাত্রী। তারা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে র‌্যালি বের হয়। হাজার হাজার মানুষ র‌্যালিগুলোতে অংশ নিয়েছিলেন।

কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তাব এনে প্রথম হইচই ফেলেন প্রমীলা। সেপ্টেম্বর থেকেই তিনি সরব কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে। তিনি এবং আর এক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য জেমস ম্যাকগভর্ন মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেওকে চিঠিও লেখেন এই বিষয়ে। কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মোদি সরকারের উপরে চাপ তৈরির প্রস্তাব দেন তারা। মোদির মার্কিন সফরের সময় থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে মোদীর নীতির সমালোচনা করে চলেছেন তারা। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনে প্রমীলার সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করায় গোটা বিষয়টি আরও তিক্ত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনকে।

এদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের ২০ কোটি মুসলিমের উপরে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস’ (সিআরএস)। তাদের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন কথা। এটি তৈরি হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে। রয়েছে পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের কার্যনির্বাহী অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস মন্তব্যও। সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন অ্যালিসের মতে এই আইনে শুধু যে মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতের আন্তরিকতা ক্ষুণ্ণ হবে তা-ই নয়, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিতে আমেরিকা যে অবাধ ও মুক্ত স্বাধীনতার পরিস্থিতি তৈরি করতে ইচ্ছুক, তা থেকেও সরে যেতে থাকবে ভারত।

সিএসআর-এর ওই রিপোর্টে রয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি আক্রমণকারী ভারতে এসে লুটপাট চালিয়েছে, এ ভাবেই দেশের ইতিহাসকে তুলে ধরতে চাইছেন হিন্দুত্ববাদীরা। এতে আধুনিক ভারতের দুই প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহরু এবং মোহনদাস গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রিপোর্টে এমন ইঙ্গিতও রয়েছে যে, উদ্বেগজনক বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নজর ঘোরাতে সিএএ-র মতো বিষয়কে আঁকড়ে ধরেছে বিজেপি। রাজনৈতিক সমর্থন অক্ষুণ্ণ রাখতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ধর্মকে। যা বলছেন বিরোধীরাও। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নেতৃত্বে মার্কিন বাম উদারপন্থী অংশই এখন মোদি সরকারের সামনে সব চেয়ে সমস্যার জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সূত্র: ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস



 

Show all comments
  • Md. ImdadulHaque ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:১৮ পিএম says : 0
    হিন্দু ভাই দের বলছি মুসলিম দের মারতে এখন আর মায়া কান্না দেখাতে হয় না। আমরা আপনাদের মায়া কান্না চাই না। আল্লা যা ভাল মনে করবেন তা করবেন।আমেরিকা ও সমরথন করে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ