Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাকে অনুদান দেয়া উচিত মোহাম্মদ ইকবাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রযোজক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল। ইতোমধ্যে ব্যবসা সফল সিনেমা ‘শুটার’, ‘পাসওয়ার্ড’ প্রযোজনাসহ বেশ কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করছেন। সম্প্রতি শূটিং শুরু হওয়া কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বীর’ চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজক তিনি। সম্প্রতি সিনেমার সমস্যা নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে তিনি সরকারি অনুদান দেয়া নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘অনুদান নীতিমালার ১২ (ছ) ধারায় আবেদনকারী প্রযোজক বা পরিচালকের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা মানা হচ্ছে না। এমনসব পরিচালকের প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রত্রকে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে যাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে কোনো পূর্ব সংশ্লিষ্টতা নেই। পাশাপাশি এমন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বা প্রযোজককে অনুদান প্রদান করা হচ্ছে, যাদের আর্থিক সক্ষমতা এবং কারিগরি কাঠামোগত সক্ষমতা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘সাধারণত যেসব সিনেমাকে সরকারি অনুদান দেয়া হয় সেগুলো কেউ দেখে না। কখন কোথায় সিনেমাটি মুক্তি পায়, কেউ জানে না। অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার নির্মাতারা নিজেরা নিজেরা সিনেমার প্রদর্শন করেন। কিন্তু যেসব সিনেমা মানুষ দেখে সেগুলো সরকারি অনুদান পায় না। আমরা তথ্যমন্ত্রীর কাছে বাণিজ্যিক সিনেমাকে সরকারি অনুদান দেয়ার অনুরোধ করছি। তবে মানহীন বাণিজ্যিক সিনেমাকে অনুদান দিতে বলছি না। তিনি বলেন, ‘আমি কাকরাইল পাড়ায় দেখেছি হল মালিকরা অনুদানের নির্মিত সিনেমাগুলো প্রদর্শনের জন্য নিতে চায় না। তাদের ভাষ্য, অনুদানের সিনেমা দর্শক কম দেখে এবং এগুলো চালালে আমাদের লস হয়। আমি মনে করি, সরকারের উচিত বিষয়টি নিয়ে ভাবা। যে দিকগুলো উন্নতি হলে সিনেমা হল এবং অনুদানের সিনেমা মানসম্মত হবে সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত। আমার মনে হয়, অনুদানের সিনেমার জন্য অধিক টাকা না দিয়ে হল নির্মাণ করে দেওয়া যেতে পারে। এতে করে সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির একটি বড় উন্নয়ন হবে। প্রযোজক বাঁচবে এবং নতুন প্রযোজক আসবে। ইকবাল বলেন, আমাদের সিনেমার সংকট নেই, রয়েছে হল সংকট। আমরা সিনেমা নির্মাণ করে সেটাকে যে যথাযথভাবে দর্শকদের কাছে দেব সেই জায়গাটা ঠিক নেই, এটাই আমাদের মূল সমস্যা। আগে সিনেমা চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি অনুদানের টাকা একজন যোগ্য প্রযোজক পেতে পারেন, যিনি এর আগেও অনেক সিনেমা করেছেন এবং এখন সিনেমা করতে পারছেন না। সরকার যে টাকা অনুদানের সিনেমার জন্য দেয়, সেই টাকা একত্রিত করে সরকার বেশ কয়েকটি উন্নত মানের সিনেমা হল নির্মাণ করতে পারে। এতে নতুন নতুন প্রযোজক আসবে। ইকবাল বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষ্য করে আসছি, যারা কখনো সিনেমা করেনি কিংবা পেশাদার সিনেমার লোক না, তারাও এই অনুদানের অর্থের জন্য ছুটছেন। মূল কথা হচ্ছে প্রফেশনাল আর নন প্রফেশনাল। সিনেমা প্রযোজনা করার মধ্যে ফারাক আছে, প্রথমেই এটা বুঝতে হবে। সিনেমার বড় জার্নিটা কিন্তু একজন প্রযোজকেই করতে হয়। আমি শ্রদ্ধার সাথেই বলতে চাই মন্ত্রী মহাদয়কে প্রযোজকদের সাথে বসে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে এর সমাধান করা। শুনতে হবে প্রযোজকদের আসল সমস্যাগুলো কি! ভালো কিছু সিনেমা যে হচ্ছে না, এটা বলা যাবে না। সিনেমা প্রদর্শনের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হল সঙ্কট। মানসম্মত ভাল হল তৈরি করতে হবে। দর্শক ভাল পরিবেশে সিনেমা দেখতে চায়। এজন্য সরকারী উদ্যোগে হল তৈরি করতে হবে।’





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিনেমা


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ