Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ব্যাপক কর্মসূচি

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

পটুয়াখালীতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নির্মানধীন কাজগুলি তদারকির জন্য জুলাই ২০১৯ থেকে পটুয়াখালীতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর পদায়নের পর থেকে কাজের গতিশীলতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতোপূর্বে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্ত কাজগুলি দেখাশুনা করা হতো। বর্তমানে পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের সড়াসড়ি তত্বাবধানের মাধ্যমে সাগর পাড়ের অবহেলিত দু’টি জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনার স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি চলছে।
বর্তমান সরকারের গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রæতির ধারাবাহিকতায় জেলার বাউফল উপজেলায় ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিউট নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যায়ে পটুয়াখালী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের কাজ সমাপ্তির পথে। অতি শিঘ্রই বিভাগের কাজে ভবন হস্তান্তর করা হবে বলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে জেলার কমলাপুর ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র ভবনের ৫০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাউফলের রাজাপুরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র ভবনের কাজের কার্যাদেশ ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে, বর্তমানে টেস্ট পাইল কাস্টিং-এর কাজ চলছে বলে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
জেলার মির্জাগঞ্জ, দুমকী ও কলাপাড়ায় প্রতিটিতে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস-কাম-স্টোর তৈরির কাজ গতবছরে হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে কলাপাড়ায় ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাজ ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে, দুমকী উপজেলায় স্থান নির্ধারন পক্রিয়ায় জটিলতার কারনে সময়শত কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এটা চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
জেলার প্রত্যন্ত নদী-সাগর বেষ্টিত রাঙাবালী উপজেলায় অদ্যাবধি কোন হাসপাতাল ভবন না থাকায় নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের লক্ষে ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য টেÐার পক্রিয়াধীন, এছাড়া দুমকী উপজেলার বিদ্যমান ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করনের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
নির্মাণ ও পুন:নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নতুন নির্মাণের কাজ চলছে প্রতিটির ব্যায় হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজের মধ্যে ৫টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাকি ৫টির কাজ চলমান।
এছাড়াও গলাচিপা সদর ইউনিয়নে ১০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে।
পটুয়াখালী নাসিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে ১ কোটি টাকা ব্যায়ে কিচেনসহ ডাইনিং-এর কাজ চলমান রয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় বিদ্যমান পুরাতন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনগুলি ভেঙে আবাসন সুবিধাসহ নতুন ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে জেলার সমাপ্ত বড় কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কোটি টাকা ব্যায়ে পটুয়াখালীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়বেটিক হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ। যা পটুয়াখালী অঞ্চলের জনগনের জন্য ডায়বেটিক সাস্বসেবায় বিরাট ভূমিকা রেখে চলছে।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার স্বাস্থসেবা খাতের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে, বর্তমান চলমান কাজগুলি সঠিক সময়ে এবং মানে সম্পন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েকটি প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ ও জমি অধিগ্রহনের কিছু সমস্যা রয়েছে, তবে দ্রæততম সময়ের মধ্যে এগুলির সমাধানে কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ