Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদেশের পরও উচ্ছেদ হয়নি কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ কার্যকর না করায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আদালত নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পুনরাদেশও দেয়া হয়েছে।

আদালতের আদেশ কার্যকর না করার বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আদেশের পর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে জেলা প্রশাসক থেকে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে কিছু অবৈধ স্থাপনা বন্দর এলাকার মধ্যে থাকায় সেটি আর উচ্ছেদ করা হয়নি। পরে আদালতে আবারো আবেদন করা হয়। তখন আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। পরে আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৩ মাস সময় দেন। এ সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত: ২০১০ সালে গণমাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরযুক্ত করে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি ১১ দফা নির্দেশনা দেন।

এ আদেশের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্টরা তা বাস্তবায়নে কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে গত বছর ২৫ জুন সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিসও দেয়া হয়। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে জবাব না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে গত বছর ৩ জুলাই আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযানে নামে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ

১৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ