Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীরকে কার্যত হারিয়ে ফেলেছি : চিদাম্বরম

বিজেপি সরকার সংবিধানকে অপবিত্র করেছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে দ্য ওয়্যারের সাথে এক সাক্ষাতকারে সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছেন, “আমরা কার্যত কাশ্মীরকে হারিয়ে ফেলেছি”। হ্যাপিমোন জ্যাকবের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কনভার্সেশান্সে’ উপস্থিত হয়ে কংগ্রেসের এই সিনিয়র নেতা বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যাপারে মৌলিক সাংবিধানিক পরিবর্তন এনে বিজেপি সরকার ‘সংবিধানকে অপবিত্র’ করেছে। কাশ্মীরের জনগণের সাথে ভারত সরকার যে আচরণ করছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি: “কোন গণতান্ত্রিক দেশ একটা পুরো জনগোষ্ঠিকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারে না”। বিজেপি সরকারের কাশ্মীর নীতির কঠোর সমালোচনা করে চিদাম্বারাম বলেন, “এমন আচরণ করা হচ্ছে যেন কাশ্মীরের পুরো ৭.৫ মিলিয়ন মানুষই জঙ্গি, দেশবিরোধী এবং পাকিস্তানপন্থী”। কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করছে বলে সরকার যে দাবি করেছে, সে ব্যাপারে তিনি এটা ‘প্রতারণাম‚লক শান্ত অবস্থা’। চিদাম্বারাম বলেন, সরকার যেটুকু করতে সক্ষম হয়েছে, সেটা হলো কাশ্মীরে সেনা পাঠিয়ে আগ্নেয়গিরির মুখে একটা ঢাকনা দিয়ে রেখেছে তারা। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানান যে, ২০১০ সালের আন্দোলনের পর ভারত সরকার কাশ্মীরের ব্যাপারে বড় ধরনের সংশোধনম‚লক পদক্ষেপ নেয়। উপত্যকায় ২০১০ সালের আন্দোলন এবং শতাধিক কাশ্মীরির মৃত্য‚র ঘটনা ভারত সরকারের জন্য ছিল জেগে ওঠার ডাক, এবং সরকার এটা বুঝেছিল যে, উপত্যকাকে স্থিতিশীল করতে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি বলেন, কৌশলের অংশ হিসেবে কাশ্মীরিদের সাথে বিনিময় বাড়ানো হয় এবং কাশ্মীরে একটি মধ্যস্থতাকারী দল পাঠানো হয়। নয়াদিল্লী একই সাথে নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ওমর আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন তৎকালিন জম্মু ও কাশ্মীর সরকারকে স্থগিত করে, যাতে সেখানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়। চিদাম্বারামের মতে বিজেপি ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই নীতি মেনে এসেছে এবং এরপর তারা ব্যাপক সামরিকায়ন করে এবং মতবিনিময় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। চিদাম্বারাম সুপারিশ করেন যে, কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সেখানকার মানুষের সাথে সংলাপ শুরু করা। সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যান্য অংশের জন্য যদি বিশেষ ব্যবস্থা থাকে, তাহলে জম্মু ও কাশ্মীর- যেটা স্বায়ত্তশাসনের শর্তে ভারতের সাথে যুক্ত হয়েছিল – সেটার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে। পাকিস্তানের সাথে আলোচনার ব্যাপারে চিদাম্বারাম বলেন যে, পাকিস্তান যদিও কাশ্মীরে সমস্যা সৃষ্টি করছে, এর পরও তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসাটা গুরুত্বপ‚র্ণ। ২০০৪-২০০৭ সময়কালে কাশ্মীর ব্যাকচ্যানেলে আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিতর্কিত দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর সমাধান হয়েছিল উল্লেখ করে চিদাম্বারাম বলেন যে, তিনি তখন ভাবেননি যে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এভাবে কোন ফল পাওয়া যেতে পারে। এসএএম।



 

Show all comments
  • জান্নাতুল নাঈম মনি ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৩৮ এএম says : 0
    একদম ঠিক কথা বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির উদ্দিন ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৩৯ এএম says : 0
    সাহস করে সত্য বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৩৯ এএম says : 0
    এর মূল্য একদিন বিজেপিকে দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আশিক ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪০ এএম says : 0
    এভাবে চলতে থাকলে ভারত টুকরো টুকরো হতে সময় লাগবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • এস আলম ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪০ এএম says : 0
    কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ