Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজ-ই মূল চালিকাশক্তি: প্রেসিডেন্ট

শাবির তৃতীয় সমাবর্তনে

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:০৩ পিএম

প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, যে-কোনো দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজ-ই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং আজ তোমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হলে, আমার সামনে এই যে তরুণ, তোমরা এক-একটি আলোর প্রদীপ, তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার।

তিনি বুধবার বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে এ কথা বলেন।

সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি মনে করি তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছো। তোমরা ভাল করেই জানো তোমাদের বিদ্যালাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি, সাহস ও অর্থ জুগিয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি জীবনব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা জাতি প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রই এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেদের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নতুন এই বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যেকোন অসামর্থ্যই দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিরন্তর গবেষণা। নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তার প্রসারের ওপরই নির্ভর করে দেশের সমৃদ্ধি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের উপরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার।

সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ঐক্যের-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলাফলগত যত বিভেদই থাকুক, অনুষ্ঠানটির অন্তর্নিহিত ঐক্য এবং শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের একটি অভিন্ন পাটাতনে দাঁড় করায়। আদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতারা শিক্ষার্থীদের ভেতর ঐক্য এবং শৃঙ্খলা থাকার কথাটি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। এই ঐক্য ধর্ম, বর্ণ বা বিত্তশ্রেণি নির্বিশেষে সামাজিক হলেও, এটি কখনও চিন্তার ঐক্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ^বিদ্যালয়টি কেবল পরিধিতেই বাড়েনি, গুণগত উৎকর্ষ সাধইের হয়েছে বিকশিত ও বিশ^মানের। জ্ঞানসাধানা, গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তৈরি করেছে নিজের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান। একটি সুবিন্যস্ত অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক ও পরিকল্পিত অটোমেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ দেশে সর্বোচ্চ মাত্রার ই-কন্টেন্ট ব্যবহারকারী ক্যাম্পাস; যে কারণে ইউনেস্কো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকে নিয়ে বাংলাদেশে ই-লাইব্রেরি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও উন্নতমানের গবেষণা এবং একটি গবেষণা বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শাহজালাল বিশ‌্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি সর্বত্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসিডেন্ট

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ