Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:১৯ পিএম

ইরানের এলিট বাহিনী আল কুদসের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের দু’টি সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। বুধবার ভোরে করা এই হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। তবে কোনো নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা।

হাফিজুর রহমান তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘খবরটি শুনে খুব ভালো লাগলো। বহু বছর পর মার্কিনীরা হামলার শিকার হলো। আশা করি এবার তারা বুঝবে। আর অনতিবিলম্বে মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে চলে যাবে।’

‘মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শক্তি আল্লাহ তা’আলা। তিনি সব সময় আমাদের সাথে আছেন এবং থাকবেন। ইরান সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’ - মিরাজুল ইসলামের প্রত্যাশা।

মোল্লা ইউনুস হাজ্জাজ লিখেন, ‘মুসলিম বিশ্বের দু’টি দেশকে নিয়েই আমরা গর্ব করি, তুরস্ক ও ইরান। যারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাও ইরান।’

‘ইরানের এই হামলা আমেরিকার সৈন্য / জনবলের হতাহতের কারণ হলে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিল হবে। হতাহতের ঘটনা না ঘটলে, আমেরিকার প্রতিক্রিয়া জোরালো হবে না। ইরান এই হামলার মধ্য দিয়ে আমেরিকার মিত্রদের এই বার্তা দিতে চায় - আমেরিকাকে নিজ ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিলে তোমার দেশ আক্রান্ত হবে। এইভাবে ধীরে ধীরে মধ্য প্রাচ্ছে আমেরিকার প্রভাব কমিয়ে আনা / কার্যকর মিত্রের সংখ্যা কমিয়ে আনা। ইরানকে নিরাপদ করা। বাস্তবে এই নীতি খুব একটা কার্যকর হবে না। মিত্রের সংখ্যা কমলেও, অন্য পথে হাঁটবে আমেরিকা। সে তার মূল উদ্দেশ্য সফল করবে, যে কোন পথে।’ - লিখেছেন আদিব মল্লিক।

হামলা করাটা ইরানের ঠিক হয় নি বলে মনে করেন আবীর চ্যাটার্জি। তিনি মনে করেন, ‘ভুল পথে যাচ্ছে ইরান। এ থেকে সে কিছুই পাবে না। তার শত্রু সংখ্যা বাড়বে এবং যে কোনো মুহূর্তে আমেরিকা তার পরমাণু স্থাপনার উপর আক্রমণ চালাবে।’

যুদ্ধের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে রুহুল আমিন লিখেন, ‘যদি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে কম বেশী পৃথিবীর সকল দেশেই এর প্রভাব পড়বে। হউক সেটা আমেরিকা, ইরান কিংবা বাংলাদেশ। জ্বালানি তেলের দাম ও বৃদ্ধি পাবে বিশ্ব বাজারে।’

আজিজুর রহমান লিখেন, ‘এই ইস্যুতেই শান্তি প্রিয় সকল দেশের উচিত ইরানকে সমার্থন করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ পৃথিবীর শান্তি জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আমেরিকা ও ইসরাইল। ’

‘হামলা করা আগে ইরানের উচিত মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নেয়া উচিত ছিলো। এই মূহুর্তে একা মার্কিনীদেরকে হটানোর ক্ষমতা তাদের নেই। তাই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার আগে আরেকটু ভাবতে হবে।’ - সাইফুল ইসলামের মন্তব্য।

সালমা আক্তারের প্রশ্ন, ‘সকল মুসলীম দেশগুলোর উচিত ইরানের সাথে জোট বেধে আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হটানো। এখন না হলে, মুসলমানরা আর কবে ঐক্যবদ্ধ হবে?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ