Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঋণ সুবিধা পাবেন কৃষকরা বীমা দিবস ১ মার্চ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালার খসড়া অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা কেম্পানির চাকরিতে যোগদানের তারিখ, অর্থাৎ ১ মার্চকে বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১ মার্চকে বীমা দিবস ঘোষণা এবং দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়া কৃষিযন্ত্র কিনতে কৃষকদের ঋণ সুবিধা দেয়ার বিধান রেখে জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় একমাস বৃদ্ধি করে ভোটার তালিকা (সংশোধন) আইন, ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত ও চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।একই সঙ্গে জাতীয় ভোটার দিবস ১ মার্চের পরিবর্তে ২ মার্চ করারও অনুমোদন দিয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বীমা দেশের একটি ‘সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপর্ণ’ আর্থিক খাত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর দেশীয় বীমা শিল্প সৃষ্টি হয় এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২, দ্যা ইনস্যুরেন্স কোন্ডঅপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর মত বীমা সংশ্লিষ্ট মৌলিক আইন প্রণীত হয়।

এ খাতের ব্যপ্তি বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বর্তমান সরকারও এর আগে বীমা মেলার আয়োজন, দেশব্যাপী বীমা সম্পর্কিত সভা, সেমিনার, শোভাযাত্রার মত আয়োজন করেছে। এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে বীমার বিস্তৃতি, জনসম্পৃক্ততা তথা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় বীমা নীতিতেও জাতীয় বীমা দিবস পালনের কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিশেষ অনুরোধ করেছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাব ছিল ২ বা ৩ মার্চ (বীমা দিবস) করার, কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। এটার সঙ্গে একটা ঐতিহাসিক দিনের সংযোগ আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই দিনে ১ মার্চ অন্য কোনো দিবস থাকলে সেটি শিফট করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এবং তা করেও দেওয়া হয়েছে। এতদিন ১ মার্চ ভোটার দিবস হিসেবে পালন করা হলেও সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা ২ মার্চে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বীমা দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করার প্রস্তাব করলেও মন্ত্রিসভা তাতে সায় দেয়নি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রæয়ারির মত জাতীয় দিবসগুলো ‘ক’ শ্রেণির দিবস। আর কর্মসূচিভিত্তিক ও প্রচারণামূলক বিষয়গুলো ‘খ‘ শ্রেণিভুক্ত। সে কারণে বীমা দিবসকেও ‘খ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ১১ উপ-ধারার বিধান অনুযায়ী কম্পিউটার ডাটাবেইজে সংরক্ষিত বিদ্যমান ভোটার তালিকা প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাব এসেছিল যে এটাকে ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি করা খুবই কষ্ট সাধ্য। সেটাকে বাড়িয়ে ২ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত করার প্রস্তাব এসেছে। মন্ত্রিসভা এটা অনুমোদন করেছে এবং ২ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালনের নীতিগত ও চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এটা এখন সরাসরি সংসদে চলে যাবে, কারণ এটা শুধু তারিখ সংশোধনের বিষয়। এর আগে ১ মার্চ ভোটার দিবস পালনের জন্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেটি পরিবর্তন করে একদিন পেছানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। সেই ঐতিহাসিক দিনের সংযোগ করার জন্য ১ মার্চ বিমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ১ মার্চের দিবস ভোটার দিবস সিফট করে দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা অনুমোদিত হওয়ায় দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পরিধি আরও স¤প্রসারিত হবে। এই নীতিমালার আওতায় কৃষকরা সাশ্রয়ী ম‚ল্যে বিভিন্ন ধরনের কৃষিযন্ত্র কেনার সুযোগ পাবেন। এছাড়া সহজশর্তে ও ন্য‚নতম সুদে বা সুদবিহীন ঋণ সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা সুপারিশ করেছে কৃষকরা তো ব্যক্তি পর্যায়ে কিনতে পারবেনই (কৃষি যন্ত্রপাতি), সমবায় পদ্ধতিতেও কেনা ও ব্যবহারের বিষয়টি যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষে হয়তো ২০ লাখ টাকা দামের যন্ত্র কেনা সম্ভব হবে না। তারা যদি সমবায় করে কিনতে পারেন, তবে তাদের সুবিধা হবে। মন্ত্রিসভা সমবায়ের ভিত্তিতে যান্ত্রিকীকরণের ব্যবস্থার বিষয়টি যুক্ত কতে বলেছে। কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের ফলে ফসল রোপণ, কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে শ্রমিক অনেক কম লাগবে। খন্দকার আনোয়ার বলেন, ফলে কৃষি শ্রমিকের অপ্রতুলতা মোকাবিলা করে কৃষি উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে,ফসলের অপচয় রোধ হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতিমালায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ভিশন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কৃষি কৌশল, কৃষিযন্ত্র সেবা প্রদানকারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধি, কৃষিযন্ত্র উৎপাদন শিল্পের স¤প্রসারণ, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, কনজারভেশন এগ্রিকালচার, বিশেষ অঞ্চলভিত্তিক যান্ত্রিকীকরণ, যুবশক্তির অংশগ্রহণ, নারীর অংশগ্রহণ, ব্যাংক ঋণ, নীতিমালা বাস্তবায়নের কর্মপদ্ধতি ও মনিটরিং ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ