Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনে নির্মিত দুটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ মংলায়

মনিরুল ইসলাম দুলু, মংলা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

গণচীনে নির্মিত বাংলাদেশের ২টি যুদ্ধজাহাজ মংলাতে এসে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাহাজ দুটি মংলার দিগরাজের নৌ-ঘাঁটিতে নোঙর করেছে। এসময় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নৌপথে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জন্য গণচীন থেকে নির্মাণ করা হয় যুদ্ধজাহাজ বিএনএস ‘ওমর ফারুক’ ও বিএনএস ‘আবু উবাইদাহ’। আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ ২টির দৈর্ঘ্য ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২.৪ মিটার। জাহাজ ২টি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম এবং আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। এতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির কামান। ভ‚মি থেকে আকাশে এবং ভ‚মি থেকে ভ‚মিতে উৎক্ষেপনযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র‌্যাড়ার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, সাব মেরিন বিধ্বংসী রকেট। সার্বিকভাবে শত্রু বিমান, জাহাজ, ও স্থাপনায় আঘাত হানার রয়েছে পূর্ণ ক্ষমতা।
এছাড়াও জাহাজ ২টিতে হেরিকাপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সন্ত্রাস, নৌদস্যু দমন ও চোরাচালান বিরোধী অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম। জাহাজ ২টি বাংলাদেশের পানিসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন জরুরি উদ্ধার ও ত্রান তৎপরতা, অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপক’লীয় এলাকায় মানব পাচার-চোরাচালান প্রতিরোধসহ বস্তু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপুর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
বানৌজা আবু উবাইদাহ এর অধিনাযক ক্যাপ্টেন এম মঈনুল চৌধুরী জানান, এই জাহাজে হেলিকাপ্টার ব্যবহার করতে পারবো। আমরা শত্রুদের যে কোন সব মেরিন ধ্বংস করতে সক্ষম হব। বিএনএস ওমর ফারুক এর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এসএম আতিকুর রহমান জানান, বিমান, জাহাজ ও সাবমেরিন এই ত্রি-মাত্রিক সক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের। এর ফলে আমরা শত্রু আরও শক্ত ভাবে মোকাবিলা করতে পারবো।
খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী পানিসীমা নিরাপত্তায় ব্যাপক দায়িত্ব পালন করছে। নতুন সংযুক্ত হওয়া এই জাহাজ বাংলাদেশের পানিসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দুর্যোগকালীন জরুরি উদ্ধার ও ত্রান তৎপরতা, অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপক‚লীয় এলাকায় মানব পাচার-চোরাচালান প্রতিরোধসহ বস্তু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তস্তর করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর জাহাজ দুটি চীনের সাংহাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে ‘জানজিয়াং’ বন্দর ও মালয়েশিয়ার ‘ক্লাং’ বন্দর হয়ে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় ‘ওমর ফারুক ও আবু উবাইদাহ।’ শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দূর্জয় এই শ্লোগানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। এই বাহিনীর বহরে যুক্ত হল এই যুদ্ধজাহাজ ২টি। এই জাহাজ ২টি দেশের নৌসীমা আরও নিরাপদ রাখবে এমনটাই আশা দেশবাসীর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ