Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচনে ৩০ জানুয়ারির আগাম বার্তা -রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:১০ পিএম

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগাম বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ভোটের প্রসাধনী ছাড়া সুষ্ঠু ভোট কখনোই হবে না। এই আওয়ামী আমলে মানুষ ফেনী মার্কা নির্বাচন দেখেছে,এখন হুদা মার্কা নির্বাচন দেখছে। এরপরেও মানুষ আরও কি মার্কা নির্বাচন দেখবে সেটির প্রতীক্ষা করছে। তাদের সকল আমলের নির্বাচনে হিংসা আর ভোট-লুটের গল্প ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না। সিইসি হিসেবে কেএম নুরুল হুদাকে বাছাই করা হয়েছে কেবলমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনকে গোরস্থানের স্থায়ী বাসিন্দা বানাতে। ভোট-লুটের নির্বাচন শেষে আওয়ামী রাজন্যবর্গের মতোই সিইসি বলবেন-ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। সত্য ঘটনাকে মিথ্যা বলা আওয়ামী লীগের এই আদর্শিক ইশতেহার আতস্থ করেছেন সিইসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সাংস্কৃতিক অভিরুচি একই ধরণের। সেটি হলো-নিরস্ত্র ভোটারদেরকে অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শন। ভোট ডাকাতি, ভোট সন্ত্রাস, জালভোট, ভোট কেন্দ্র দখল ও অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালনে আওয়ামী লীগের যে বিজয় নিশান উড়ে সেই নিশানে হাওয়া দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এখন জনমনে ভোট মানেই যে প্রহসন সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজের কেরামতি অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছেন। সিইসির তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম উপ-নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতির ঐকান্তিক উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে। ভোট-সন্ত্রাসকে জাতীয় জীবনে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। হুদা কমিশন ভোট ডাকাতির বৈধতা দানের সিলমোহরে পরিণত হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের শত্রুপক্ষ, গণতন্ত্রের শত্রু। বিষাক্ত সাপকেও বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা যায় না। তিনি একদলীয় রাজনীতির মূঢ় বিশ্বাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের আগের দিন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হুমকি-ধামকি, হামলা আর ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতিনিয়ত নিগৃহিত করা হয়েছে। প্রতিমূহুর্তে ধানের শীষের সমর্থক ও ভোটাররা হিংসার সম্মুক্ষীণ হয়েছেন। সারা আসন জুড়ে সর্বত্রই অত্যাচারের চিত্র ছিল একই রকম। ১৭০টির মধ্যে সকালবেলায় ১২০টি ভোটকেন্দ্র থেকে এবং পরে সকাল ১১টার মধ্যে সবকটি কেন্দ্র দখল করে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। বহিরাগতদের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটের লাইন দেখানো হলেও ঐ এলাকার কোন ভোটারই ভোট দিতে পারেনি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা খোরশেদ ও রফিকের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তারা এখন হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি বিএনপি’র বর্ষীয়ান নেতা ৮০ বছর বয়স্ক এ্যাডভোকেট ইসাহাকের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে তাকেও আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।

রিজভী বলেন, ভোট সন্ত্রাস চলাকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এসব অপকর্মে সহায়তা করেছে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এর কয়েকদিন আগে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের এক এমপি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে একাই কিভাবে কেন্দ্র দখল করেছিল, সেটি উল্লেখ করে একইভাবে এই উপ-নির্বাচনেও তাকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সব কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী প্রার্থীকে বিজয়ী করবে, এধরণের ঘোষণা দিয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ