Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছোট বড় গর্তে সড়কের করুণ হাল

দুর্ভোগকবলিত রাউজান গ্রামীণ জনপদ

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাউজান হলদিয়া ইউপির উত্তরসর্তা হযরত আলী হোসেন শাহ সড়কটির করুণ অবস্থা। সড়কটির আলী হোসেনশাহ ব্রিজ হতে গফুর মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ি পর্যন্ত করুণ হাল।
সরেজমিন দেখা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়কটি আলী হোসেনশাহ ব্রিজ হতে মাজার পর্যন্ত সড়কের পাশে সর্তাখাল বয়ে যাওয়ায় ইটের সলিংগুলো বর্ষাকালে দেবে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোন কোন জায়গায় খালের সাইড ভেঙে পড়ায় রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে গাড়ি। আবার মাজার হতে পশ্চিম দিকে দিদার চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের সলিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামীণ জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। চলাচল করেন স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। আলহাজ দিদারুল আলম গুন্নু চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দিয়ে সড়কটি গফুর মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ি হয়ে উত্তরসর্তা দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তরসর্তা গাউছিয়া হাফেজিয়া সিনিয়র মাদরাসা হয়ে প্রধান সড়ক মাওলানা দোস্ত মোহাম্মদ সড়কের সাথে সংযুক্ত।
এদিকে সড়কের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দানবীর আলহাজ দিদারুল আলম গুন্নু মুঠোফোনে প্রবাস থেকে জানান, আমাদের বাড়ির সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমি রাউজানের এমপি মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল ও বর্তমান হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামকে অবহিত করেছি। উনারা বরাদ্ধ আসলে সড়কের জন্য বরাদ্ধ দেবেন বলেছে। তিনি এ সড়কটি দ্রুত সময়ে পিচডালই ও প্রসস্ত করার জোর দাবি জানান।
এদিকে এ সড়কের সাথে রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী হযরত আলী হোসেন শাহ ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়ার পর থেকে দু’পারের বাসিন্দাদের মাঝে যোগাযোগ, চলাচল, সেতুবন্ধন বেড়েছে কয়েকগুন। একসময় ব্রিজ না থাকায় মানুষের যোগাযোগ ছিল একেবারেই কম।
ব্রিজ থেকে দক্ষিণ দিকে চাঁদ কাজীর বাড়ি হয়ে খালের পাড় দিয়ে দৈনিক শত শত মানুষ আমিরহাট বাজার রাউজান সদরে যাতায়াত করছেন। খালের ভেড়িবাঁধটি বড় করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইটের সলিং করে দিলে চলাচলে দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যেত।
আমিরহাট সর্তা ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে ফোরখ হাজীর বাড়ি পর্যন্ত সলিং থাকলেও অপরাংশে সলিং নেই। এতে করে একটু বৃষ্টি পড়লে ঐ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকেনা। তখন পায়ে হাটা দায় হয়ে ওঠে চলাচলকারীদের। চাঁদ কাজী বাড়ির মানুষের কষ্ট স্বাধীনতা পরবর্তী থেকে। ঐ সড়কে প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাটির কাজ করা হলেও, স্থানীয় মানুষের দাবি ইটের সলিং করে দেয়া।
সে সড়কটি গিয়ে আলী হোসেন শাহ সড়কের সাথে সংযুক্তি হয়ে ১নং ওয়ার্ডের সাথে যুক্ত। ফটিকছড়ির সিমান্তবর্তী হওয়ার দু’উপজেলার মানুষের গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এসব সড়কগুলোতে সরকারি নজর দেয়ার দাবি স্থানীয় জনসাধারনের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ