Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাস্টিন ট্রুডোর দাড়ি এবং রাজনীতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৪৮ পিএম

জানুয়ারির শুরুতে শীতকালীন অবকাশ কাটিয়ে ফিরেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু বদলে গেছে তার চেহারা। মুখভর্তি নতুন গজানো দাড়িতে তাকে চেনাই কষ্ট হয়ে গেছে। তবে তার অফিসিয়াল ফটোগ্রাফারের তোলা একটি ছবি প্রকাশের পর যেসব রাজনীতিবিদ দাড়ি রাখার কারণে লোকের প্রশংসায় ভেসেছেন তাদের তালিকায় ট্রুডো জায়গা করে নিয়েছেন।

প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায়, থুতনি আর চোয়ালে কাচা-পাকা দাড়িমুখে ট্রুডো সিরিয়াস ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছেন। তবে ট্রুডোর জন্য চেহারায় বৈচিত্র্য আনার এই চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। লিবারেল দলের নেতা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবার আগে প্রস্টেট ক্যান্সার বিষয়ক এক দাতব্য সংস্থার তহবিল সংগ্রহের সময় বাহারি গোঁফ এবং একটু ‘ছাগুলে দাড়ি’ রেখেছিলেন।

আধুনিক রাজনীতিবিদদের মধ্যে দাড়ি রাখার বিষয়টি বেশ বিরল, কারণ কেউ হঠাৎ দাড়ি রাখতে শুরু করলে সেটা সবাই লক্ষ্য করে। বিশ্বের কোন কোন অংশে দাড়ি রাখার বিষয়টিকে ব্যক্তিগত স্টাইলের চাইতে বেশি কিছু ভাবা হয়। মার্গারেট থ্যাচার যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেসময় তিনি দাড়ি রাখা এত অপছন্দ করতেন যে কেউ কেউ তাকে ‘পোগোনোফোবিক’ (যারা দাড়ি সহ্য করতে পারে না) বলে আখ্যায়িত করতেন। সম্প্রতি দেশটির বিদায় নেয়া লেবার নেতা জেরেমি করবিন ছিলেন ১৯০৮ সালের পর প্রথম দাড়িওয়ালা ব্রিটিশ নেতা যিনি কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ছিলেন।

কানাডাতে বামপন্থী ফেডেরাল নিউ ডেমোক্র্যাটস দলের সর্বশেষ তিনজন নেতার দাড়ি ছিল। দলটির বর্তমান নেতা জাগমিত সিং-এর দাড়ি আছে এবং তিনি শিখ রীতি অনুযায়ী পাগড়িও পরেন। দেশটির গণমাধ্যম গ্লোব এবং মেইলের তথ্য অনুযায়ী জাগমিত-এর পূর্বসূরি থমাস মালকেয়ার যখন দলের নেতৃত্বে আসেন তখন তাকে দাড়ি কামিয়ে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সর্বশেষ বিংশ শতাব্দীতে কানাডার গোঁফওয়ালা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন স্যার রবার্ট বোরডেন।

এখন এটি পরিষ্কার নয় যে মিঃ ট্রুডোর দাড়ি কি স্থায়ী ব্যাপার না, জানুয়ারির শেষে অটোয়াতে এমপিরা ফিরে এলে তিনি দাড়ি কামিয়ে ফেলবেন। অস্থায়ী হোক আর না হোক, অবকাশ শেষে সাদাকালো দাড়িভর্তি মুখ নিয়ে ফেরা ট্রুডোকে ‘পরিপক্ক’ রাজনীতিবিদের মত দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ম্যাকায় বার্নি গ্রুপ নামে কনসাল্টিং ফার্মের কর্ণধার লিন ম্যাকায়। তিনি বলেন, ‘দাড়ি রাখার মাধ্যমে তিনি বিশেষ পর্যায়ের এক পরিপক্কতা দেখাতে চাইছেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।’

২০১৫ সালে কানাডা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একেবারে নতুন মুখ হিসেবে আবির্ভূত হন ৪৮ বছর বয়সী ট্রুডো। নিজের অভিব্যক্তি নিয়ে সচেতন একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ট্রুডোর ইমেজের সঙ্গে এখনকার দাড়ি রাখা চেহারাকে মেলানো যায় না। কানাডার রাজনীতিতে ধারাবাহিক কয়েকটি স্ক্যান্ডাল এবং রাজনৈতিক সংকটের পর সম্প্রতি ট্রুডোকে বেশ কষ্ট করে পুনঃনির্বাচিত হতে হয়েছে। নির্বাচনে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন ঠিকই কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সূত্র: ন্যাশনাল পোস্ট।



 

Show all comments
  • jack ali ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম says : 0
    I wish and pray to Allah [SWT] that he accept Islam.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কানাডা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ