Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাঁশের সাঁকোই চরবাসীর ভরসা

মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চরবাসীর পারাপার বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলছে দীর্ঘদিন থেকে। আরও কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হবে তা কেউ জানেনা। জানে না যাতায়াতের স্থায়ী সমাধান হবে কবে। কথা হয় উপজেলার তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা পরবর্তি সাঁকো নির্মাণ করে দিতে হয় এলাকাবাসির চলাচলের জন্য। তিনি মনে করেন যে সমস্ত নালা বা শাখানদী স্থায়ী হয়ে গেছে, সেখানে সেতু নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন।
বেলকা চরের শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করা অত্যন্ত কষ্টকর ও ঝুঁকিপুর্ণ। ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মালামাল বহন করা যায় না। সে কারণে দ্বিগুন মজুরি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি বা নৌকা যোগে মালামাল পার করতে হয়। এত করে খরচ বেশি হয়, এমনকি মাঝে মাঝে লোকসানও গুনতে হয়। সময়ও বেশি লাগে।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, চরাঞ্চলে সেতু নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় করে থাকে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, ইতোমধ্যে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেইসব এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধা হয়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে সেতু নির্মাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আর কতদিন পারাপার করতে হবে সাঁকোয় জানে না এলাকাবাসি। বন্যার সময় নৌকায়, খরার সময় বাঁশের সাঁকোয় অথবা হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে চরবাসী চলাচল করছে যুগ যুগ ধরে। অথচ আজও চরাঞ্চলবাসীর চলাচলের জন্য স্থায়ী নালা বা শাখা নদীর উপর কোন সেতু নির্মাণ করা হয়নি। সে কারণে বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা কষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে। এ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউরিয়নের ওপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এখন অসংখ্য নালা ও শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে। অনেক শাখা নদী এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। ওইসব নালা ও শাখানদী ভাঙনের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওইসব শাখানদী ও নালায় আরো সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন। সে কারণে দিনের পর দিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে চরবাসী, পথচারী, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ও ব্যবসায়ীদের। এসব বাঁশের সাঁকো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রতি বছর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভরসা

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৫ জানুয়ারি, ২০২২
১৬ জানুয়ারি, ২০২২
৭ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ