Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক সম্প্রসারণ চার লেনের কাজ শুরু

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে : চট্টগ্রাম হাটহাজারীসহ দুই পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পর্যটন সড়কের চার লাইন সম্প্রসারণ কাজ দ্রতগতিতে এগিয়ে চলছে। খাগড়াছড়ি সড়কের কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি সড়কের কাজও চলছে, এই সড়কের কাজ আগামী দেড় বছরের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানা যায়।

দুই পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন উপজেলার ও হাটহাজারী রাউজান ফটিকছড়ি এলাকার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে। এই দুটি সড়কের প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারনে যাত্রী সাধারণ ও কর্মজীবী লোকেরা তাদের কর্মসময় হারাচ্ছে।

হাটহাজারী হতে বামদিকে খাগড়াছড়ি সড়কটি ফটিকছড়ি পর্যন্ত প্রস্থ ১৮ থেকে ৩৪ ফুট উন্নীত করার কাজ চলছে। মাঝখানে ৫-৮ ফুট ফুল বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপির একক প্রচেষ্টায় হাটহাজারী-নাজিরহাট-ফটিকছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের চার লাইন সম্প্রসারণ কাজের জন্য অর্থ বরাদ্ধ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খাগড়াছড়ি সড়কের ৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত চার লেনের সড়ক করা হবে। হাটহাজারী, নাজির হাট, ফটিকছড়ি, এই আঞ্চলিক সড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য সরকার ৩৯৯ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ৩৯৯.৪৪ কোটি টাকার ব্যয়ে এই সড়কটি ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রীজ ইমফ্রভমেন্ট প্রজেক্ট (ইবি, বি, আইপি) এর অধীনে কাজ শুরু হয়েছে। দুই বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানালেও তবে তার আগে শেষ করা হবে বলে জানান সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) কর্তৃপক্ষ।

অপরদিকে হাটহাজারী বাস স্টেশন হতে ডানদিকে রাঙ্গামটি পার্বত্য জেলা পর্যটন সড়ক এই সড়কটির চার লাইনের কাজও খুব দ্রত এগিয়ে চলছে। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির প্রচেষ্টায় ৫০০ কোটি টাকায় প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সড়কটি ১৮ কিলোমিটার চার লাইনে উন্নীত হবে। চার লাইনের কাজ শেষ হলে সড়কের মাঝখানে ৫-৮ ফুট ফুলবাগান করার পরিকল্পনাও রয়েছে। উভয় সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা রয়েছে পাশাপাশি বাকি কিছু জায়গা কিছু কিছু এলাকা মালিকানাধীন ও খতিয়ানভূক্ত থাকলেও তা অধিগ্রহণের কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ