এনআরবিসি ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২১ অনুষ্ঠিত
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার সংক্রমণের কারণে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা আছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ। আর আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর সন্তুষ্ট ৮৫ ভাগ জনতা। রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ জরিপ পরিচালনা করে। গতকাল তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তা প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দৈবচয়ন পদ্ধতিতে মোবাইল কলের মাধ্যমে এ জরিপ করা হয়। এতে অংশ নেন ২ হাজার ২৬৬ জন। তবে কল করা হয় ৮ হাজার ৩৯ জনকে। এর মধ্যে কল ধরেন ৫ হাজার ৪২৯ জন। যারা কল ধরেন তাদের মধ্যে মতামত দেন ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ।
রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত এক বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাত্র তিন শতাংশ।
গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভাষণে দেশবাসীকে তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখেন। মাত্র তিন শতাংশ আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া ১১ শতাংশ কোনো মতামত দেননি।
এ জরিপে সবচেয়ে কার্যকর মন্ত্রণালয় হিসেবে ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ৯ শতাংশ উত্তরদাতা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাকিরা অন্য মন্ত্রণালয় বেছে নিয়েছেন।
জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করতে চাননি। ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মাত্র ছয় শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম সন্তোষজনক দাবি করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ব্যাপারে উত্তরদাতাদের মধ্যে আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হয়েছে।
জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বিরোধী দল থাকার প্রয়োজন নেই। ২০ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
জরিপে দেখা যায়, দক্ষতা সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সব বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে ২০ হাজার নারী-পুরুষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৮ হাজার ৩৯ জন মোবাইল ব্যবহারকারীকে টেলিফোন করলে জরিপে ৫ হাজার ৪২৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৬৬ জন অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত দেন।
১০ জন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট সরাসরি জরিপে অংশ নেন। এ তথ্য সংগ্রহ করে জরিপকারীদের ১৮ প্রশ্ন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিচার্স ইন্টারন্যাশনালের চিফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার ও গবেষক কাজী আহমদ পারভেজ, বিইউপি ও বাউস্টের খন্ডকালীন শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।