Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এফএ কাপে ম্যানইউর গোলবন্যা, লিভারপুলের হোঁচট

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১:৪৫ এএম | আপডেট : ২:৫৮ পিএম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০

ট্রানমেরে রোভার্সকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মাঠে ৬-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে দলটি। এছাড়া দ্বিতীয় সারির লিভারপুল তুলনামূলক খর্বশক্তির দল শরিউসবুরি টাউনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে।

তৃতীয় স্তরের দলকে পাত্তাই দেয়নি ম্যানইউ। এ মৌসুমের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। তাতে এফএ কাপের শেষ ষোলোতে ঠাঁই পেয়েছে ইউনাইটেড। হ্যারি মাগুইরে ম্যানইউর জার্সিতে তার প্রথম গোল করেন। প্রথমার্ধে জালের দেখা পান ডিওগো ডালোট, জেসি লিনগার্ড, ফিল জোন্স ও অ্যান্থনি মার্শাল। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে ম্যাসন গ্রিনউড করেন বাকি গোল। লিভারপুল ও বার্নলির কাছে টানা হারের পর এই জয়ে সোলশারের ওপর থেকে চাপ কিছুটা হলেও কমেছে।

১০ মিনিটে মাগুইরের দূর পাল্লার শট পিটার ক্লার্কের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে তিন মিনিট পর ক্লাবে নিজের প্রথম গোল করেন ডালোট। লিনগার্ডের নিচু ও কোনাকুনি শটে ১৬ মিনিটের মধ্যে ৩-০ স্কোর করে ইউনাইটেড।

বিরতির আগে হেডে চতুর্থ গোল করেন জোন্স। বক্সের প্রান্ত থেকে মার্শালের শট কিয়েরন মরিসের গায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়। ৫৬ মিনিটে ট্রানমেরে গোলকিপার স্কট ডাভিস ফাউল করেন তাহিথ চংকে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন গ্রিনউড।

অন্যদিকে দলে ১১টি বদল আনেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন ফিরমিনো ও মোহামেদ সালাহকে। তারপরও ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে সহজ জয়ের সুবাস পাচ্ছিল লিভারপুল। কিন্তু ছেড়ে কথা বলেনি শ্রেসবেরি। অবশ্য ভিএআর না থাকায় ভুগতে হয়েছে লিভারপুলকে।

শ্রেসবেরির বিপক্ষে একবারই দেখা হয়েছিল লিভারপুলের। ১৯৯৬ সালের এফএ কাপ চতুর্থ রাউন্ডের ওই ম্যাচে গে মিডোতে ৪-০ গোলে জিতেছিল অলরেডরা। কিন্তু দুই যুগ পর নিউ মিডোতে তাদের কঠিন পরীক্ষা নিলো শ্রেসবেরি।

১৫ মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। পেদ্রো চিরিভেয়ার পাস থেকে ম্যাক্স ও’লিরিকে পরাস্ত করেন তৃতীয় রাউন্ডে জয়ের নায়ক কুর্তিস জোন্স। কিছুক্ষণ পর শ্রেসবেরি ভালো সুযোগ পায়, শন হোয়েলিকে আসতে দেখে এগিয়ে যান আদ্রিয়ান। লিভারপুল গোলকিপার প্রথম দফায় তাকে আটকান। কয়েক সেকেন্ড পেরোতেই আবার হোয়েলির শট পা দিয়ে ঠেকান তিনি।

ভিএআর না থাকায় আফসোসে পুড়তে হয় লিভারপুলকে। ম্যাচের আধঘণ্টা সময়ে তাকুমি মিনামিনোর ক্রস থেকে নেকো উইলিয়ামসের শট অ্যারন পিয়েরের হাতে লাগে। রেফারি খেয়াল না করায় পেনাল্টি দেননি।

মাঠে ঢুকে পড়েন শ্রুসবুরি দর্শক-সমর্থকরা৪১ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পান হোয়েলি। আদ্রিয়ানকে একা পেয়েও তার মাটি কামড়ানো শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডিফেন্ডার ইয়াসের লারুসির ভুলে গোল খেতে বসেছিল অতিথিরা। পিয়েরে শট নেওয়ার আগে একটু বেশিই ভাবছিলেন, তাকে রুখতে অসুবিধা হয়নি আদ্রিয়ানের।

বিরতি থেকে ফেরার ২৭ সেকেন্ড পর লিভারপুল ব্যবধান দ্বিগুণ করে। শ্রেসবেরি ডিফেন্ডার ডোনাল্ড লাভ একটি ক্রস ফেরাতে গিয়ে নিজের জালে বল জড়ান। ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টায় পৌঁছানোর ঠিক আগে ক্যালাম ল্যাংয়ের শট গোলবারের পাশ দিয়ে পাঠান লিভারপুল গোলকিপার। পরের মিনিটে ল্যাংয়ের বদলি নামেন জেসন কামিংস এবং পাল্টে দেন ম্যাচের ভাগ্য।

ভিএআর না থাকায় আবারও দুর্ভাগ্যের শিকার হয় লিভারপুল। বক্সে ঢোকার আগমুহূর্তে লারুসির ফাউল হন লরেন্ত। বক্সের বাইরে তিনি পড়ে গেলেও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আদ্রিয়ানকে ভুল দিকে পাঠিয়ে গোলটি করেন কামিংস।

৭৪ মিনিটে ডিভোক ওরিগিকে থামান ও’লিরি। সঙ্গে সঙ্গে বল মাঝমাঠে পাঠান শ্রেসবেরি গোলকিপার। দেহান লভরেনকে টপকে বল পায়ে নেন কামিংস এবং ঠাণ্ডা মাথায় আদ্রিয়ানকে বোকা বানিয়ে জাল কাঁপান বদলি স্ট্রাইকার।

যোগ করা সময়ে দুই দলই সুযোগ নষ্ট করে। প্রথম মিনিটে ফিরমিনোর ক্রস থেকে মোহামেদ সালাহর দুর্দান্ত হেড একটুর জন্য জালে জড়ায়নি। দুই মিনিট পর লরেন্তকে কাছের পোস্টে প্রতিহত করেন আদ্রিয়ান। স্প্যানিশ গোলকিপারের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত পরের পর্বে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখে লিভারপুল। আর ড্র করেও জয়ের আনন্দে ভাসে শ্রেসবেরির সমর্থকরা। ম্যাচ শেষ হতেই মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ