Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কী হতে পারে এই মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রায় ৩শ’ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উদ্ভব ঘটে এবং সেটা ঘটে পৃথিবীর আদিম কোনো জলাশয়ে
ইনকিলাব ডেস্ক : আমাদের এই মহাবিশ্ব প্রায় ১৩শ’ ৭০ কোটি বছরের পুরনো এবং পৃথিবীর সম্ভাব্য বয়স প্রায় ৪শ’ ৫০ কোটি বছর। সুতরাং অদূর ভবিষ্যতে আসলে কী হতে পারে এই মহাবিশ্বে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজ থেকে প্রায় ৩শ’ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হয়েছে। সে প্রাণের উদ্ভবও বিস্ময়কর। পৃথিবীর আদিম জলাশয়ে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব ঘটে। তবে কোন বিক্রিয়ায় কোন অনুঘটকের উপস্থিতিতে কোন অনুর অনুরণনে অণু-পরমাণু-মূলক-যৌগের বিবিধ ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় এমন বৃহদাকার অণুর সৃষ্টি হয়েছিল যা বংশবৃদ্ধি করতে পারে সেটা এখনো অজানা। তবে এই অণুগুলো অধিকতর জটিল কাঠামো সংশ্লেষ করতে পারে। এই বিস্ময়কর বৃহদাণুটির নাম ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড।
কিন্তু এককোষী জীব থেকে বহুকোষী জীবে পরিণত হতে লক্ষ লক্ষ বছর লেগে যায়। সেজন্যই মানুষের আবির্ভাব হয়েছে অনেক পরে। প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে। তবে বিগ ব্যাঙের প্রথম একশ’ বছরে মহাবিশ্ব যেরকম চরম ও পরম পরিস্থিতি বিরাজ করছিল তাতে জীবন সৃষ্টি সম্ভব ছিল না। কাজেই মহাবিশ্ব যখনই এমন অবস্থায় উপনীত হয় যে জীবন সৃষ্টি সম্ভব তখনই আমাদের উদ্ভব হয়েছে। তবে এই উন্মুক্ত মহাবিশ্ব আর কতো বিলিয়ন বছর এমন জীবন সৃষ্টি করে যেতে পারবে তা কারো বোধগম্য নয়। কারণ সৌরজগৎ আস্তে আস্তে বাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। মহাবিশ্বের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে অন্য সকল নক্ষত্রের মতো সূর্যও ক্রমাগত তার হাইড্রোজেন জ্বালানি পুড়িয়ে শেষ করে ফেলছে। কাজেই একসময় এই জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তখন সূর্যের অভ্যন্তরে শুরু হবে হিলিয়ামের দহন। এই পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ বিকিরণ চাপ ও অভিকর্ষীয় আকর্ষণের টানাপোড়েনে সূর্য বেশ স্ফিত হয়ে যাবে। যা হবে সূর্যের লাল দানব দশা। সেটা শুরু হবে প্রায় ৫শ’ কোটি বছর পর। তারপর আরো কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে সূর্য আরো স্ফিত হয়ে পৃথিবীর নিকটবর্তী হয়ে যাবে এবং পৃথিবীকে গ্রাস করে ফেলতে পারে অথবা সূর্য পৃথিবীর এতোই কাছেই চলে আসবে যে পৃথিবীর ওপরিভাগের তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এরপর একশ’ কোটি বছর পর আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ এবং আন্ড্রোমিডা গালাক্সি মিলিত হয়ে একটি সুপার গালাক্সি তৈরি করবে। এরপর একশ’ ট্রিলিয়ন বছর পর আমাদের সুপার গালাক্সির বেশিরভাগ তারাই তার জ্বালানি ফুরাবার কারণে নিভে যাবে। সুতরাং তখন নক্ষত্রের তাপ না থাকায় স্পষ্টতই মহাবিশ্ব শীতল হয়ে যাবে। যদিও প্রশ্ন থাকে এই মহাবিশ্বের বর্তমান তাপ কিভাবে কিসে রূপান্তিত হবে। শীতল মহাবিশ্বে কোনো নতুন প্রাণসত্ত্বার উদ্ভব ও বিকাশ সম্ভব হবে না।
তারপরও যদি বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটিয়ে মানুষ অভিযোজিত হয়ে ততোদিন স্পেসে নতুন কলোনি কিংবা বেবি গালাক্সি তৈরি করে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে তাহলে দেখা যাবে অতিদূর ভবিষ্যতের শীতল মহাবিশ্বের বিবর্তিত (সামান্য আবহাওয়ার পার্থক্যে যেখানে পৃথিবীতেই মানুষের চুল, নাক, রঙ, উচ্চতা এমনকি ভাষার বিবর্তন ঘটে সেখানে মহাবিশ্বের এমন পরিস্থিতিতে মানুষের সামগ্রিক বিবর্তন স্বাভাবিক) দেহ এবং সংস্কৃতির চিন্তাশীল অদ্ভুত সত্ত্বাদের কাছে পূর্বের অর্থাৎ আমাদের এখনকার উষ্ণ মহাবিশ্বের ভাবনাটা মোটেও সুখকর হবে না।রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কী হতে পারে এই মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ