Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্মের নামে বিভাজন নয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম

সিএএ’র পক্ষে জনসমর্থন জোগাড়ে নামতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। এমন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত এই আইন নিয়ে এবার দলের অভ্যন্তরেই অন্য সুরশোনা গেল।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপি’র এমপি নারায়ণ ত্রিপাঠি জানিয়ে দিলেন, ধর্মের নিরিখে দেশভাগ করা একেবারেই উচিত নয়। এই পদক্ষেপ সংবিধানের পরিপন্থী।

গত মঙ্গলবার দিল্লিতে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর সভা থেকে সিএএ’র পক্ষে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি। ‘ঐতিহাসিক অন্যায়’ সংশোধন করতে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই সিএএ আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কিন্তু তার সঙ্গে একমত নন নারায়ণ ত্রিপাঠি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বাবাসাহেব অম্বেডকর প্রণীত সংবিধান মেনে চলব। নাকি সেটা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে দেব। আগে তা ঠিক হওয়া দরকার। সংবিধানে বলা রয়েছে, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ধর্মের নিরিখে কোনও বিভাজন চলবে না। তারপরও এসব চলছে। এতে একটা জিনিসই বোঝায়, হয় আপনি সংবিধানের পক্ষে, নইলে বিপক্ষে।’
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যও তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেন নারায়ণ ত্রিপাঠি। তিনি বলেন, ‘একে অপরের দিকে তাকানো বন্ধ করে দিয়েছে মানুষ। আমাদের গ্রামে মুসলিমরা আগে দেখলেই কুশল বিনিময় করতে এগিয়ে আসতেন। কিন্তু আজকাল আমাদের দিকে তাকাতেও তারা পছন্দ করেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রামের দিকে রেশন কার্ড পেতেই ঘাম ছুটে যায় দরিদ্র মানুষের। নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে যাবতীয় নথিপত্র কীভাবে জোগাড় করবেন তারা? ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সিএএ আনা হয়েছে। এতে বিজেপি লাভবান হচ্ছে বটে। কিন্তু দেশের কোনও লাভ হচ্ছে না।’ সূত্র : টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ