Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিটি নির্বাচন ইসি’র জন্য চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশ ন্যাপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৪৯ পিএম

রাত পোহালেই (শনিবার) ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে জনমনে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ প্রত্যাশা করেছেন সিটি নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও জনগনের অংশগ্রহনমূলক। এবং গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের জন্যও এক বড় চ্যালেঞ্জ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ সব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, সামগ্রিকভাবে ভোট কেমন হবে, ভোটার উপস্থিতি কতটা হবে সে বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। তবে, ইতিমধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই হতাশাব্যাঞ্জক। যা গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য কোন শুভ বিষয় নয়। তারপরও সুষ্ঠু ভোট হবে এবং ভোটার উপস্থিতিও আশাব্যঞ্জক হবে এমনটি প্রত্যাশা করছে নগরবাসী।

তারা বলেন, ইতোমধ্যে অনেকের কথাবার্তাই উষ্কানিমূলক বলে মনে হচ্ছে। যা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এসকল বিষয়ে সকল পক্ষকেই সংযত আচরণ করা উচিত। বিশেষ করে সরকারি দলকে আরো বেশী সংযত আচরণ করতে হবে।

নেতৃদ্বয় সরকারি দলের একজন নেতা ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি দলের নেতাদের এমন বক্তব্য ভোটারদের মধ্যে বিরুপ ধারণা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি হ্রাস পেতে পারে, যা শুভ লক্ষণ নয়। আর এই সকল কিছুকে অতিক্রম করে নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকমত ভোট করাতে না পারে তাদের থাকা না থাকার মধ্যে কোন পাথ্যক্য থাকবে না। তারা (ইসি) কিভাবে তাদের ইতিহাস লিখবে এটা তাদেরকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

তারা আরো বলেন, ভোট কেন্দ্র দখলে রাখার প্রকাশ্য ঘোষণা, নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ নির্লিপ্ততা, ঢাকার বাইরের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার পুলিশের ঘোষণা, ইদানিংকালের নির্বাচনগুলোর ইতিহাস থেকে খুব বেশি আশঙ্কা হয় এই শনিবারের নির্বাচনও একটি নির্বাচনের নামে আবার প্রহসনের পর্যবসিত না হয়। তবে প্রত্যাশা করছি ভোটাররা যদি দলে দলে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার জন্য ভোটকেন্দ্রে যান তাহলেই হয়তো গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আর ভোটাররা যদি তাদের ভোটাধিকার বিসর্জন দিয়ে ঘরে বসে থাকেন তাহলে তো দেশে কখনোই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ফলে ভোটাররাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঘরে বসে কোনো দেশে ভোটের অধিকার, নাগরিক অধিকার কোনো সমাজ পায়নি। আশা করবো ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, নগরবাসীসহ দেশবাসী আশা ও প্রত্যাশা করে শনিবার সিটি নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে এবং উৎসবমূখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। এবং সেখানে যেন কোনো ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপ না হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি নির্বাচন

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ