Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপি আজ ঢাকায় হরতাল ডেকেছে

দুই সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভয়াবহ কারচুপি, জালিয়াতি এবং জবরদস্তি করে ফলাফল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দুই সিটির নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। এর প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই কি হবে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনও সরকার পূর্বের নির্বাচনগুলোর মতো রাষ্ট্রযন্ত্র, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে তাদের মত করে তারা দখল করে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, এখানে নির্বাচন কমিশনকে ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এই নির্বাচন কমিশন সরকারের বশংবদ হয়ে কাজ করছে। অদক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোন লক্ষণ আমরা দেখতে পাইনি।

তিনি বলেন, ভয়াবক কারচুপি, জালিয়াতি এবং জবরদস্তি করে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে জনগণের রায়কে পুরোপুরিভাবে পদদলিত করে একদলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রভাবিত করে লুট করে ফলাফল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভোটে কারচুপি ও জালিয়াতির প্রতিবাদে রোববার ঢাকা শহরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল আহ্বান করছি। আমরা আশা করবো ঢাকাবাসী তাদের অধিকার রক্ষার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করবেন এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য সমর্থন দিবেন।

বিএনপি মহাসচিব জানান, হরতালের সময় অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান, লাশবাহী গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বরাবরাই একটা কথা বলে এসেছি, এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই তারা এখানে করছে। সেজন্যই দেশের জনপ্রিয় নেতা, গণতন্ত্রের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় প্রায় দুই বছর কারাবন্দী করে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কোন শাসকের পক্ষে এধরণের অমানবিক আচরণ করা সম্ভব বলে আমরা ভাবতে পারিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু প্রমূখ।#



 

Show all comments
  • সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:২৩ এএম says : 0
    We, the people of the country, don't support your idea because more than half of your statement is not true.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন নির্বাচন

২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ