Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

একই সময় খুলনা ঝিনাইদহে, ঝিনাইদহ খুলনায়!

বাফুফের এ কেমন রসিকতা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৫৩ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এ কেমন রসিকতা! বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে একই সময়ে দু’দল একে অন্যের ভেন্যূতে অবস্থায় করায় খেলা মাঠে গড়ায়নি। পূর্ব প্রকাশিত ফিকশ্চার অনুযায়ী খুলনার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যে সময় ঝিনাইদহের খুলনায় থাকার কথা, ঠিক ওই সময়ই খুলনা ছিল ঝিনাইদহে। দীর্ঘদিন পর বাফুফে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করলেও টুর্নামেন্ট নিয়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ আসরে অংশ নেয়া জেলাগুলো একে অন্যের বিপক্ষে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে। কিন্তু শনিবার ঘটলো আজব এক ঘটনা। একই সময়ে দুই দল দু’ভেন্যুতে অবস্থান করায় ম্যাচটি পন্ড হয়েছে! এদিন ঝিনাইদহ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে খুলনায় গিয়ে দেখে প্রতিপক্ষ দল সেখানে নেই। যে সময় ঝিনাইদহ খুলনার মাঠে, ঠিক সেই সময় খুলনা অবস্থান করছে ঝিনাইদহের মাঠে! এমন ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনে বিরল।

বিব্রতকর এমন পরিস্থিতির জন্য একে অন্যের ঘাড়ে দোষা চাপাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুজ্জামান ঝন্টু অভিযোগের সূরে বলেন, ‘আমরা বাফুফের ফিকশ্চার অনুযায়ী খুলনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্বাগতিক দল আমাদের মাঠে গেছে। কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। যদিও এই ম্যাচের আগে বাফুফের একজন নির্বাহী ফোন করে আমাদেরকে জানিয়েছিলেন, যে প্রথম ম্যাচটি আমাদের ভেন্যূতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমি লিখিত কিছু না পাওয়ায় দল নিয়ে খুলনা চলে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি খুলনা পাড়ি জমিয়েছে আমাদের ভেন্যূতে। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমি সত্যিই অবাক সঙ্গে ভীষণ হতাশও।’

খুলনা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর দায় চাপিয়েছেন ঝিনাইদহের উপর। তার কথায়,‘আমরা বাফুফের সর্বশেষ বার্তা পেয়ে ঝিনাইদহে খেলতে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি রেফারিরা থাকলেও ঝিনাইদহ দল নেই। জানতে পারি ওরা নাকি খুলনায় গেছে। ফলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন হলো ঝিনাইদহ কেন আমাদেরকে জানায়নি যে তারা খুলনা ভেন্যুতে আসছে। এটা জানালে কি এমন ক্ষতি হতো? এই দায় আমি তাদের ঘাড়েই চাপাবো। বাফুফে ফিকশ্চারে সংশোধনী আনতেই পারে। দলগুলোকে তো সেটা মেনেই খেলতে হবে।’

এদিকে খুলনায় এসেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি খেলতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদাহ ডিএফএর সভাপতি আহসানুজ্জামান ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘এক সময় শেরে বাংলার নামে এই টুর্নামেন্টটি হত। দীর্ঘ ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় টুর্নামেন্টটি। বঙ্গবন্ধু আমাদের গর্বের জায়গা। তার নামে টুর্নামেন্টে বাফুফের এমন আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। তারা কাকে জেতাতে এই কাজটি করেছে আমার বোধগম্য নয়। তাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করুক তাতে আমার আপত্তি থাকবে না।’ ম্যাচ যে হল না এখন আপনারা কি পদক্ষেপ নিবেন। এমন প্রশ্নে আহসানুজ্জামান ঝন্টু বলেন, ‘আমরা বাফুফের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইলাম। দেখি তারা কি করে।’

ঘটনাটি জেনে হতবাক বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সদস্য হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘যদি টুর্নামেন্টের ফিকশ্চার বদল হয় তাহলে তো আমি জানবো। এখন দুই দল দু’ভেন্যুতে খেলতে গেছে, এটা শুনে তো আমি নিজেই অবাক। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। আমি বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাফুফে

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২১
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ