Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনের সাথে বাণিজ্য পর্যবেক্ষণে রয়েছে

সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ^ব্যাপী আতংক বিরাজ করছে। বাংলাদেশও বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের আমদানি ও রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বাণিজ্য সচিব গতকাল একটি বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ের উপর নজর রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এফবিসিসিআই চীনের সাথে বাণিজ্য বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিবেন। এ প্রতিবেদনের উপর সরকার পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরী পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্যান্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ মহুর্তে কোন সমস্যা নেই। করোনা ভাইরাস সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চিন্তা করতে হবে। চীনের সাথে যে গুলো সেক্টরে বাণিজ্য রয়েছে বিশেষ করে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কাজ করছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বুঝা যাবে। ব্যবসায়ীগণও বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে যে সমস্যা চলছে, উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব পর্যালোচনা করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ সমস্যা বেশিদিন অব্যাহত থাকলে আগামী দিনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পেঁয়াজ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চগুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পেঁয়াজ আমদানির উপর নির্ভরশীল না থেকে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। পেঁয়াজের উপযুক্তমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকগণ পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এর উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার চিন্তা করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর দেশের চাহিদা মেটাতে ৮ থেকে ৯ লাক মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রতিবেশি ভারত থেকে আমদানি করা হতো। এ বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার কারনে সমস্যা হয়েছে। পরে বাংলাদেশ মায়ানমার, মিশর, তুররষ্ক, পাকিস্তান, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে চাহিদা পূরণ করছে। এখনও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজরে পর্যাপ্ত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পেঁয়াজের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে যাতে কেউ কারসাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গহণ করা হবে। আশা করি, আগামীতে এ ধরনের কোন সমস্যা হবে না। দেশের কৃষকগণ পেঁয়াজের মূল্য বেশি পাবার কারনে ইতোমধ্যে উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ সমস্যা সমাধানের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। এক সময় গরু আমদানি করে পবিত্র কোরবাণীর ঈদের চাহিদা পূরণ করা হতো। সরকারের গৃহীত বিশেষ উদ্যোগের কারনে আজ বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পন্ন। এখন আর কোরবানীর জন্য গরু আমদানি করতে হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ