Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ওমর, মেহবুবার বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন, মর্মাহত চিদম্বরম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:১২ পিএম

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মর্মাহত কংগ্রেস নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এবার তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে জন সুরক্ষা আইন। উপত্যকার এই দুই নেতা-নেত্রীর উপর কেন্দ্র জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। শুক্রবার সকালে টুইট করে নিজের বিস্ময় ও দুঃখ পাওয়ার কথা জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। টুইটে চিদম্বরম লেখেন, ‘বিনা অভিযোগে আটক রাখা গণতন্ত্রের সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। অন্যায্য আইন প্রয়োগ হলে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় আছে?’

৬ মাস ধরে গৃহবন্দি কাশ্মীরি নেতারা। এবার মোদি সরকার তাদের উপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করায় সেই বন্দিদশা আরও বাড়তে চলেছে। জন সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে আদালতে না নিয়ে গিয়েও এই আইনের বলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে।

জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অশান্তির আশঙ্কায় আগেভাগেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা উপত্যকা দখলে নিয়ে নেয় সেনা। জায়গায় জায়গায় চলে সেনা-পুলিশের টহলদারি। ভস্বর্গে সভা-জমায়েত নিষিদ্ধ করে সরকার। ইন্টারনেট, কেবল টিভি পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে আশান্তি দমনের চেষ্টা হয়। এরই পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের উপর চলে কড়া নজরদারি।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। যদিও কাশ্মীরে কেন্দ্র বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এমনকী বিরোধী দলের নেতাদের কাশ্মীর সফরেও প্রাথমিকভাবে অলিখিতভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়।

শ্রীনগরে দলেরই বর্ষীয়ান এক নেতার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বললে প্রথমে কেন্দ্রের কাছএ বাধা পান সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইয়েচুরিকে কাশ্মীরে যেতে দেয় কেন্দ্র। তবে দলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করা ছাড়া ভূস্বর্গে কোনও সভা-জমায়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ চাপায় তারা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ