Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ-লিফলেট বিতরণ

হাসপাতাল থেকে ফিরেই রাজপথে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:১৯ এএম

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণার সময় হামলার শিকার হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি হাতে ও পায়ে প্রচন্ড আঘাত পান। আহত হওয়ার পর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ব্যান্ডেজ করিয়েই অংশগ্রহণ করেন হরতাল কর্মসূচিতে। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হরতাল শেষে আবারও ভর্তি হন হাসপাতালে। চিকিৎসা শেষে ফিরেই রুহুল কবির রিজভী গতকাল শুক্রবার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমে পড়েন। তার নেতৃত্বে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা এবং সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, হাজী মজিবুর রহমান, জাসাসের জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, মেহবুব মাসুম শান্ত, কে এম রেজাউল করিম রাজু, ছাত্রদলের ওমর ফারুক কাওসার, শাহ নেওয়াজ, মশিউর রহমান রনিসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে দেশ পরিচালনা করেছেন। অথচ এই মহিয়সী নারী বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ৭৩০ দিন কারাজীবন অতিবাহিত করছেন। ক্ষমতার দম্ভে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। দেশ পরিণত হয়েছে হীরক রাজার দেশে। বাংলাদেশের মন্ত্রী-নেতাদের উদ্ভট, অসামঞ্জস্য ও লাগামহীন কথাবার্তা এবং আচরণে দেশবাসী এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে বিচার, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে দেশকে এক ভয়াল নগরী বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী প্রতিহিংসার রাজনীতির বেড়াজালে দেশ ও দেশের মানুষ এখন কাতরাচ্ছে। বিনা ভোটের সরকার জনগণের ওপর দমন-পীড়ণ চালিয়ে এবং গণতন্ত্রকে তাদের দুশমন হিসেবে গণ্য করে দেশ থেকে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল ও মতকে উধাও করার মাধ্যমে একচ্ছত্র ও এক ব্যক্তির শাসন বলবৎ রাখতে চায়। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বেগম জিয়াকে সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। তিনি ক্রমান্বয়ে চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলছেন। তিনি অন্যের সাহায্য ব্যতিরেকে প্রাত্যহিক কোন কর্মই সম্পাদন করতে পারছেন না। কিন্তু তাঁকে সুচিকিৎসাটুকুও দেয়া হচ্ছে না। অসুস্থতা দিনকে দিন চরম অবনতি হতে থাকলেও প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের ক্রোধের আগুন যেন নিভছেই না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার প্রধান শেখ হাসিনা জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামকে স্তব্ধ করতেই বেগম জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চান। শেখ হাসিনা হয়তো ভেবেছেন-জনগণ নয়, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণ চালালেই তাঁর ক্ষমতার রাজমুকুট কেউ কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনি যত ভয়ঙ্কর ডিক্টেটরই হন না কেন, জনগণের পুঞ্জীভূত ক্রোধ এখন বিস্ফোরন্মেুখ হয়ে আছে। যেকোন সময় আপনার সরকার ভূতলে শায়িত হবে।
লিফলেট বিতরণ: এদিকে দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে গতকাল রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিকেল ৩টায় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এর আগে সকাল ১১টায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন শাহবাগ মোড়, আজিজ সুপার মার্কেট, পিজি হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ