Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবারও বিজেপি’র রোষানলে উত্তরপ্রদেশের সেই মুসলিম চিকিৎসক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:১৪ পিএম

ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুসলিম চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে এবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে (এনএসএ) মামলা করা হল। এর আগে ২০১৭ সালে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে ৬০ শিশুর মৃত্যুর দায় তার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছিল যোগি সরকার। কিন্তু পরে প্রমাণিত হয়, তার আন্তরিকতার কারণেই বরং আরো অনেক শিশুর প্রাণ বেঁচে যায়।

এবার কাফিল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছর নাগরিকত্ব সংশোধনী পাশ হওয়ার পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই আইন-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে এই কড়া আইনে মামলা রুজু হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই।

২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কটে ৬০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কাফিল খানকে প্রথমে সাসপেন্ড করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও পরে প্রমাণিত হয় যে, ওই অক্সিজেন সঙ্কটের সময় হাসপাতালে পড়ে থেকে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এমনকি, অন্যান্য হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন জোগাড় করেও এনেছিলেন। না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারত বলেও অনেকে মনে করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশ সরকারেরই একটি রিপোর্টে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি।

কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পর নতুন করে মামলার কোপে পড়লেন কাফিল খান। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় কাফিল খান ক্যাম্পাসের শান্তিভঙ্গ করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে গত ১৩ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের হয়। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় সোমবার জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে মথুরা জেল থেকে এখনও ছাড়া পাননি।

অন্য দিকে কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার দু’দিন পর থেকেই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন তীব্র হয়। গাড়ি-বাইক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। তার জেরেই পরে তাঁর বিরুদ্ধে এনএসএ-র ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এনএসএ-র ধারায় চার্জ গঠন হওয়ায় আদৌ তিনি জেল থেকে ছাড়া পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ