ময়মনসিংহের ফুলপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত আরিফ কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয় এবং মালিকসহ ২ জনকে আটক করেন।এসময় কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত দুজনকে ১ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন।

জানা জানা , ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের সখল্যা মোড়ে সাহাপুর গ্রামের মৃত মোছলেম উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম(৩৫) সরকারি আদেশ অমান্য করে এসএসসি পরিক্ষা চলাকালিন আরিফ প্রাইভেট সেন্টার নামে একটি কোচিং সেন্টার চালিয়ে যাচ্ছিল। সোমবার সকাল ৮টায় ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে আরিফ কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়। কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করার পর উক্ত কোচিং সেন্টারের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের ভাইটকান্দি মোড় এলাকায় রাস্তার উপর কাটা গাছের টুকরো ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় সাহাপুর থেকে কোচিং সেন্টার মালিক আরিফের কয়েকজন লোক মোড়ে আসে এবং তারা ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা অবনোধ ও ইউএনও'র গাড়ি আটকাতে উদ্বুদ্ধ করে। তখন ১ ঘন্টা ব্যাপী অবরোধের মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ীসহ রাস্তার দুপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে যায়।সংবাদ পেয়ে ওসি ইমারত হোসেন গাজীর নেতৃত্বে ফুলপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং কোচিং সেন্টারের মালিক আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও সাহাপুর গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২০)কে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সরকারি আদেশ অমান্যের অপরাধে আটককৃত কোচিং সেন্টারের মালিক আরিফুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলামকে দন্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম।

ফুলপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালাচ্ছিল। অভিযান চালিয়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।ভ্রাম্যমান আদালত ২জনকে সাজা দিয়েছে।

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করায় আটককৃতদের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।