Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকার ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধ্বংস করেছে

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

যে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সামনে রেখে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সেই চেতনাকে বর্তমান সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, স্বাধীন একটি ভূ-খন্ড তৈরি হয়েছে, আমরা একটি পতাকা পেয়েছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে চেতনাকে ভিত্তি করে সেদিন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো, সেই গণতান্ত্রিক চেতনা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে ৬৮ বছর পরেও বর্তমান দখলদার সরকার জনগণের সমস্ত অধিকারগুলো, ভোটের অধিকার হরণ করে, বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য সবরকমের অপকৌশল করছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্রহীন অবস্থায় দেশ চলছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজকে এই মহান দিবসে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, আজকে দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং আইনের শাসন নেই। এখানে কোনো ন্যায় বিচার নেই। আমরা এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্যে আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি যে, এদেশে ইনশাআল্লাহ গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের যে গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, সেই গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যিনি মাতা যিনি দীর্ঘকাল সারা জীবনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী যা তার ন্যূনতম প্রাপ্য জামিন, সেই জামিনও তাকে দেয়া হচ্ছে না।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় বলাকা সিনেমা হলের কাছে সমবেত হয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর প্রভাত ফেরী করে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পুষ্পমাল্য অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামা ওবায়েদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শামীমুর রহমান শামীম, সেলিম রেজা হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, প্রফেসর ডা, আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, জাসাসের সালাউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, শায়রুল কবির খান, জাকির হোসেন রোকন এবং সদ্য সমাপ্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর লুৎফুর রহমান, প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমানসহ বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ