Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলাম প্রচারে মাতৃভাষার কোনো বিকল্প নেই জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ইসলাম প্রচারে মাতৃভাষার কোনো বিকল্প নেই। ইসলাম প্রচার প্রসারের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো মাতৃভাষা। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও মাতৃভাষার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ইসলাম প্রচার ও প্রসারে মাতৃভাষা চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশ্বনবীর (সা.) মাতৃভাষায় পবিত্র কুরআন নাজিল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ’আমি কুরআনকে তোমার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে তুমি তা দিয়ে মুত্তাক্বীদেরকে সুসংবাদ দিতে পারো এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারো। গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খুৎবাহ পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম মুফতী এহসানুল হক জিলানী এসব কথা বলেন।
পেশ ইমাম বলেন,মহান আল্লাহ যুগে যুগে যেসব নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন তাঁদেরকে সেই অঞ্চলের মানুষের ভাষাভাষী করেছেন। নবী-রাসূলদের নিজস্ব মাতৃভাষায় আসমানি কিতাব নাজিল করে তাঁদের ভাষাকে সম্মানিত করেছেন।
আল্লাহর বাণী সহজ, সুন্দর সাবলীল ও পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ’আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য, অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। তিঁনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।
পেশ ইমাম আরো বলেন, ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহানবী (সা.) অন্যান্য জাতির মাতৃভাষা শেখার জন্য সাহাবায়ে কেরামদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবায়ে কেরামদের অনেকেই আরবি ভাষা ছাড়াও পারস্য মিসরীয় রোমান ও আফ্রিকান ভাসা জানতেন এবং সে ভাষায় উত্তম বক্তৃতা পরিবেশনে পারদর্শী ছিলেন। প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী-গুণী হতে হলে মাতৃভাষা সর্ম্পকে ব্যাপক অনুশীলন করা উচিত। প্রত্যেক মুসলমান বিশেষ করে আলেম-ওলামাদের কর্তব্য হলো মাতৃভাষা চর্চায় মনোযোগী হওয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জুমার খুৎবা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ