Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কি-ওয়ার্ড: আফগানিস্তান, শান্তি চুক্তি।

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম

সহিংসতা হ্রাসে আফগানিস্তানে শান্তির আশা বাড়ছে

 

ইনকিলাব ডেস্ক

আফগানিস্তানে ১৯ বছর ধরে চলা যুদ্ধের আগুনে দ্বগ্ধ বেসামরিক নাগরিকরা এই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে তা উদযাপন করছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের মতে, কেবল ২০১৯ সালেই ১০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে সহিংসতায়। নানাগারহার প্রদেশের জালালাবাদে আইএস গ্রুপ ও তালেবান উভয়ের অবস্থান রয়েছে। এখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে আনন্দের সাথে গৃহীত হয়েছে।

এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি সফল হলে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হতে পারে। এতে করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে এবং আফগান মাটি অন্য কোনো দেশে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হতে দেয়া হবে না মর্মে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় এই সমঝোতা হয়। শান্তিচুক্তি সই করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রতিনিধির কথা ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান গত বছরই শান্তিচুক্তির দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষ দিকে গিয়ে ট্রাম্প তা থেকে সরে আসেন।

জান্নাত বিবি ২০১৭ সালে কয়েক মাসের ব্যবধানে তার ছেলে ও দুই নাতিকে হারিয়েছেন। তারা সবাই আফগান পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতেন। দেশটির দক্ষিণে যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিহত হন। তারপর থেকে তিনি তার ছেলের তিন স্ত্রী, নাতি-নাতনিদের ছাড়াও তাদের ১৯ সন্তানকে লালন পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এখন ৮০ বছর বয়সে জান্নাত বিবি দান খয়রাতের ওপর নির্ভর করেন, তবে তা দিয়ে খাবার জোটানো খুবই কঠিন।

আফগানিস্তানে দীর্ঘ দিন ধরে চলা যুদ্ধ ও তার পরিবার সদস্যদের হারানোর কথা স্মরণ করে জান্নাত বিবি চলতি সপ্তাহের সপ্তাহব্যাপী সহিংসতা হ্রাস কর্মসূচিকে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তালেবান, আফগান ও মার্কিন বাহিনী এক সপ্তাহ সহিংসতা হ্রাস কর্মসূচিতে একমত হয়েছে। জান্নাত বলেন, আমার প্রতিবেশীরা আমাকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে। আমি সত্যি মনে করি তা হবে। আমি আর যুদ্ধ চাই না। তিনি বাস করেন নানগারহার প্রদেশের দারাই নুর জেলার শেরমল গ্রামে। জানান, শান্তির স্বপ্ন আমি সারা জীবন দেখে আসছি। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হলে আমি মনে করি যে আমার নাতি-পুতিরা যুদ্ধমুক্ত দেশে বাস করতে পারবে।

শার্খ রদ জেলার অধিবাসী সিরাজ পাঠান বলেন, জালালাবাদ নগরীতে বিপুল উৎসাহ দেখা গেছে। লোকজন রাস্তায় নেমে নৃত্য করছে, আফগান পতাকা দোলাচ্ছে, গাড়িগুলো ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পুরো নগরীতে সঙ্গীত ফেটে পড়ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধে বেশির ভাগ আফগানই তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমাদের গ্রামগুলোর দিকে তাকালে শিশুদের এতিম অবস্থায় পাওয়া যাবে।

তবে কাবুলের বাসিন্দা ২২ বছরের খালিদ বাশারি আগে কয়েকবার যুদ্ধবিরতি ভণ্ডুলের কথা বলে কিছুটা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ