Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুজিববর্ষের উপহার শতভাগ বিদ্যুতায়ন

পল্লী বিদ্যুতের সেবাবর্ষের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

সারাদেশে মোট ৪৬১টি উপজেলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। এছাড়া ৫২টি উপজেলা ও ২১টি জেলায় আগামী জুন মাসের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। অফগ্রিডসহ সব এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে সে কারণে মুজিববর্ষের পল্লী বিদ্যুতের সেবাবর্ষের ঘোষণা দিয়েছে আরইবি।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত গৃহীত এই কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা মুজিববর্ষ পালন করব। জাতির সুবিশাল পরিসরে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে। আমরাও এ গর্বিত অংশীদার হবো। এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মুজিববর্ষ পল্লী বিদ্যুতের সেবাবর্ষ হিসেবে পালন করা, মজিব কর্নার ও ডে-কেয়ার স্থাপন করা, জনগণের শতভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া নিশ্চিত করা, আলোর ফেরিওয়ালা হয়ে গ্রিড ও অবগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতায়ন, গ্রাহককে ৫০ কি:ও: সুবিধা প্রদান করাসহ শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা লেখা ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ পৌঁছালে দেশের সব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। গ্রিড রয়েছে এমন এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে আগামী জুনের মধ্যে। তবে অফগ্রিড এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ স¤প্রসারণে আরও ৬ মাস লাগতে পারে। গ্রিড-অফগ্রিড সব এলাকা মিলিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। শুরুতে কিছুটা ঢিমেতালে চললেও উপজেলাভিত্তিক শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়ার পর কাজে গতি আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল থেকেই ধাপে ধাপে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসা উপজেলাগুলো উদ্বোধন করতে শুরু করেন। এতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই কার্যক্রম আরও গতি পায়।

বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা করে আরইবি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয় আরইবি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে- ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তারা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারবে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সিস্টেম অপারেশন বিভাগের পরিচালক অঞ্জন কান্তি দাশ যে সব উপজেলায় এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে তারমধ্যে বেশিরভাগ উপজেলারও বিদ্যুতায়নের কাজ ৮০ থেকে ৯০ ভাগ শেষের পথে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে এই কাজও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও পুরোপুরি শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়ন হয়েছে, তা বলা যাবে না। কারণ আরইবির কিছু কিছু এলাকা আছে অফগ্রিড। সেই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ দিতে আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আরইবির অন্য একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আরইবির অধীনে প্রায় এক হাজার গ্রাম আছে অফগ্রিডে। এই গ্রামগুলোর বেশিরভাগই চর এলাকায় অবস্থিত। বিশেষ করে ভোলা, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রামের দিকে এই চরগুলো অবস্থিত। ফলে সেখানে গ্রিডে বিদ্যুৎ দেয়া যাবে না। তাই সেখানে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে গ্রামগুলোকে আমরা আলোকিত করব। এই কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে প্রথম ৬টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৫৭টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরইবি জানায়, ২০১৬ সালের পর ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আরও ১০টি, একই বছর সেপ্টেম্বরে ১০টি এবং ডিসেম্বরে আরও ১০টি, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ১৫টি, ১৪ জুলাই ৭টি, আগস্টে ২১টি, অক্টোবরে ১টি, নভেম্বরে ১০২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে ১২টি, মার্চে ৩টি, সেপ্টেম্বরে ১০টি, নভেম্বরে ২৩টি এবং সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুজিববর্ষ

২০ এপ্রিল, ২০২১
১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ