Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঝুলে গেল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:১১ এএম

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করায় ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এতে করে আবারও ঝুলে গেল বহু প্রতীক্ষিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সচিব সেলিম রেজা বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকের বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়। যা সবশেষে স্থগিত করা হয়। তবে পরবর্তী যেকোনো সময়ে আবারও বৈঠক হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর আগে, গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালয়শিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রীই জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জন্য শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হচ্ছে। তবে কোন পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে তা নির্ধারণ হবে বুধবারের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে।
ওইদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে শুরু থেকেই কুলাসেগারান এবং আমি একমত ছিলাম। আমরা আনন্দিত যে বাজারটি উন্মুক্ত হওয়ার পথে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্ররণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। তবে আমরা এক জায়গায় একমত হয়েছি, যে আমাদের খুব দ্রুত শ্রমবাজার খুলতে হবে। এর বাইরে যেটা আছে যে এবার আমরা পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি নারী গৃহকর্মী পাঠাবো মালয়েশিয়ায়। অনেক আলাপ হয়েছে। এগুলো আগামী বুধবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় চূড়ান্ত করা হবে। খুব শিগগিরই আমরা যেকোনও একটা সিস্টেমে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার খুলবো।
২০১৬ সালে ‘জিটুজি প্লাাস’ পদ্ধতিতে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। এ পদ্ধতিতে পাঁচ খাতে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি কর্মী যায় মালয়েশিয়া। তবে এ চুক্তির আওতায় মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে খরচ ৪০ হাজারের কম নির্ধারিত হলেও জনপ্রতি কর্মীদের কাছ থেকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত নেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি। নানা সমালোচনার পর ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মালয়েশিয়া

৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ