Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিস্তিনে আরও হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর, লাশ ফেরত চেয়ে আকুতি মা ও স্ত্রীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৪৬ পিএম

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দখলদার দেশটির সেনাবাহিনীকে। গতকাল সোমবার তিনি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দেন। খবর আলজাজিরা ও আনাদোলুর।
ইসরাইলি বাহিনী গত রোববার থেকে সিরিয়া ও ফিলিস্তিনির পশ্চিমতীরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধাদের আস্তানা ধ্বংস করতেই তারা এ হামলা চালাচ্ছে।

লাশ ফেরত চেয়েছে মা ও স্ত্রী
এদিকে গত রোববার পশ্চিমতীরের খান ইউনিসে বর্বর ইসরাইলের সেনা সদস্যরা মুহাম্মদ নাঈম নামে ২৭ বছরের এক ফিলিস্তিনি প্রকৌশলীকে বুলডোজার দিয়ে পিষে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা সেই ঘটনার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেন, যা সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ নাঈমের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা। ঠিক তখনই একটি ইসরাইলি বুলডোজার চলে আসে।
তার মা ৫৬ বছর বয়সী মিরভাত বলেন, আমার সন্তানের কোনো তুলনা হয় না। সে আমার কাছে ছিল সব কিছু। তার হৃদয়টা ছিল দয়ালু, ধার্মিক ও নৈতিক। তার এই হত্যাকান্ড আমরা মেনে নিতে পারছি না।
এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইল আমার ছেলেকে হত্যার পর যে বর্বরতা দেখিয়েছে তা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। অবিলম্বে ছেলের মরদেহ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওই ফিলিস্তিনির মা জানালেন, আমার ছেলেকে এক নজর দেখার অধিকারটুকুতো আমার আছে। আমি ছেলেকে আমার কাছেই দাফন করতে চাই যাতে মাঝে মধ্যেই তার কবরে যেতে পারি।
মুহাম্মদ নায়িমের স্ত্রী হিবাও আকুতি জানিয়ে বলেন, আমাদের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছে। এক বছরের কম বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ছোট্ট শিশুটি তার বাবাকে ছাড়া কীভাবে বড় হবে?
তিনি আরও বলেছেন, তার স্বামী প্রকৌশলী ছিলেন। তার আয়েই সংসার চলত। তার স্বামীর মতো দয়ালু মানুষ আর হয় না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

 



 

Show all comments
  • jack ali ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:০৬ পিএম says : 0
    O'Allah punish these Isreal barbarian in this world and throw them into Hell forever.
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Mustafijur Rahman Howlader ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    ১০) যারা মোমেন নর-নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে অতপর তারা কখনো তওবা করেনি,তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের (কঠোর) আযাব এবং তাদের জন্য আরো রয়েছে (আগুনে) জ্বলে পুড়ে যাওয়ার শাস্তি। ১১) নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান এনেছে এবং (ঈমানের দাবী অনুযায়ী) ভাল কাজ করেছে,তাদের জন্য রয়েছে এমন জান্নাত যার নীচ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত রয়েছে; সেটাই (সেদিনের) সবচেয়ে বড় সাফল্য; ১২) নি:সন্দেহে তোমার মালিকের পাকড়াও হবে ভীষন শক্ত; (সূরা বুরুজ: আয়াত ১০-১২) মুহাম্মদ নাঈম কে যারা এভাবে হত্যা করল তাদের অবস্থা এরচেয়েও ভায়াবহ হবে নিসন্দেহে। সবর করুন মালিকের সেই ওয়াদার জন্য, আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ