Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানে পঙ্গপাল সামলাতে চীনের হংস বাহিনী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০৬ পিএম

পঙ্গপালের হামলায় অতিষ্ঠ পাকিস্তান। কোনভাবেই মোকাবিলা করতে পারছিল না তারা। উপায় না পেয়ে বন্ধু চীনের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছিল পাকিস্তান। বিমুখ করেনি চীন। পঙ্গপালের হামলা সামলাতে প্রায় ১ লাখ বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাঁস পাকিস্তানে পাঠানোর তোড়জোড় করছে তারা। সিন্ধু, বালুচিস্তানের মতো সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলির অবস্থা পরিদর্শনে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। এখন অপেক্ষা হংস-বাহিনীর।

সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবর, আজাদ কাশ্মীর সংলগ্ন চীনের জিনঝিয়াং প্রদেশে ইতিমধ্যেই ১ লাখ হাঁস মজুত করা হয়েছে। এদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকিস্তানে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজটি শুরু হবে জিনঝিয়াং প্রদেশে।

ইতিমধ্যে চীনা কৃষি ও গ্রামীণ মন্ত্রণালয় থেকে একদল বিশেষজ্ঞকে পাকিস্তানের সিন্ধু, বালুচিস্তান এবং পাঞ্জাব প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। পঙ্গপাল রুখতে হাঁস কেন? ঝেজিয়াং অ্যাকাডেমি অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের গবেষক লু লিঝির কথায়, ‘হাঁস দলবদ্ধ ভাবে থাকতে ভালোবাসে। তা বাদে মুরগির থেকে ওদের নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ। ওদের জীবনীশক্তি, খাবার সন্ধানের ক্ষমতা এবং প্রবল শীতের সঙ্গে টিকে যাওয়ার শক্তি- সবটাই বেশি। ফলে বন্য পরিবেশে সহজে মানিয়ে নিতে পারে।’ হিসাব করে দেখা গেছে, কোনও পঙ্গপাল-পরিবারকে খেয়ে উড়িয়ে দিতে একটি হাঁসই যথেষ্ট। লু-র মতে, ‘মুরগি যেখানে দিনে ৭০টি পঙ্গপাল খেতে পারে, সেখানে হাঁসের পঙ্গপাল নিকাশ ক্ষমতা দিনে ২০০-র কাছাকাছি। অর্থাৎ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে হংস বাহিনী প্রায় তিনগুণ বেশি শক্তিশালী।’ আরও সুবিধা আছে। যেমন, এরা ব্যাঙ এবং মুরগির মতো পঙ্গপালের প্রকৃতিনির্দিষ্ট খাদকের তুলনায় অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ। তাই হাঁসেই ভরসা।

আপাতত যা খবর, তাতে এই লড়াইয়ে সেনাপতির ভূমিকা থাকছে জেঝিয়াং প্রদেশের শাওক্সিং এলাকার হাঁস, ‘গুও শাও নাম্বার ১’। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই এলাকায় যে হাঁস পাওয়া যায়, তার মধ্যে ‘ম্যালার্ড ডাক’ আয়তনে সবচেয়ে বড়। এদের শিকারের ক্ষমতাও বেশি। এদের লড়াই-দক্ষতার প্রমাণ ২০০০ সালে পেয়েছিল চীন। সে বার জিনঝিয়াং প্রদেশে পঙ্গপালের দল হামলা করলে ঝেজিয়াং থেকে আকাশপথে ১ লাখ হংস-বাহিনী নিয়ে আসা হয়। তাতেই কাজ হাসিল হয়। কীটনাশক দিয়েও অবশ্য পরিস্থিতি সামলানো যেত। তবে পরিবেশের উপর তার প্রভাব ও খরচের কথা মাথায় রেখে এই সেনাকেই মাঠে নামানো হয়। এ বার পাকিস্তানের ময়দানে পরীক্ষা হংস-বাহিনীর। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।



 

Show all comments
  • ash ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:১৯ পিএম says : 0
    HAHAHAHAHAHAHAH CHINA BRAINNN !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ