Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এগিয়ে চলেছে বৃত্তাকার রেলপথের সমীক্ষা

যানজট নিরসন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা শহরের চারপাশ ঘিরে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষার কাজ এগিয়ে চলেছে। রাজধানীর সড়কগুলোতে গাড়ির চাপ কমাতে ও যানজট নিরসনে এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বৃত্তাকার রেলপথটি পুরোটাই হবে উড়ালপথে (এলিভেটেড)। প্রাথমিকভাবে মূল রেলপথের নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। প্রকল্প সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সমীক্ষার অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।
প্রকল্পের সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর চারপাশঘেরা বৃত্তাকার রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ৮০ কিলোমিটার। যানজট নিরসনে এবং লেভেল ক্রসিংয়ের ঝামেলা এড়াতে এই পুরো রেলপথটি হবে উড়ালপথে। আর বৃত্তাকার এই রেলপথে স্টেশন থাকবে ৪০টি। ট্রেন চলবে স্ট্যান্ডার্ড গেজ ডাবল লাইনে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ মিনিট পর পর চলবে ট্রেন। বৃত্তাকার এই রেলপথের টিকিট ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হবে স্মার্ট কার্ড।
প্রাথমিক পর্যায়ে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে- উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, বিরুলিয়া, মিরপুর, গাবতলী, রায়েরবাজার, বাবুবাজার, সদরঘাট, শ্যামপুর, ফতুল্লা, চাষাড়া ও পূর্বাচল সড়ক ঘিরে। রেলপথের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে রুট গুলো চূড়ান্ত করা হবে। প্রকল্প সূত্র জানায়, বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণে সমীক্ষার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। যার পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে করা হচ্ছে। প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে মূল রেলপথের নির্মাণের ব্যয় হতে পারে ৭২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এর মধ্যেই আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলমান রয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রভাব এই প্রকল্পে কিছুটা পড়বে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, চাইনিজ কোম্পানি এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। তাই সবকিছু আমলে নিয়েই আমরা কাজ করছি। তবে করোনার প্রভাবে কাজ কিন্তু থেমে নেই, কাজ চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ কিছুটা বাড়তে পারে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সেটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মে মাসে। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে সেটা হয়তো ২০২০ সালের জুনে গিয়ে শেষ হতে পারে। তবে এর সাথে এই প্রকল্পে নতুন করে আর ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা নেই।
জানা গেছে, বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষা বা ফিজিবিলিটি স্টাডি কার্যক্রম শেষে যে রিপোর্ট দেওয়া হবে তার ওপর ভিত্তি করেই ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের মূল কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে গত বছরের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ে, চীনের সিউয়াং সার্ভে, চীনের ডিজাইন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড, বেটস কনসাল্টিং সার্ভিস লিমিটেড বাংলাদেশ ও ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড অ্যাডভাইজার লিমিটেড বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।



 

Show all comments
  • নীল আকাশ ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৪ এএম says : 0
    খুবই দারুণ উদ্যোগ। শুভ কামনা রইলো দ্রুত শুরু করা হোউক।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজারেথ স্বনন ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৪ এএম says : 0
    সমীক্ষা করতে করতেই কত বছর পার করে দেওয়া হবে কিজানি।
    Total Reply(0) Reply
  • জোবায়ের আহমেদ ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৫ এএম says : 0
    সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে যানজটের হাত থেকে নগরবাসী রক্ষা পাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সত্য হক ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৬ এএম says : 0
    বৃত্তাকার রেলপথটি হয়ে গেলে ঢাকা শহরের চেহারায় বদলে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • চাদের আলো ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৬ এএম says : 0
    ইনশায়াল্লাহ খুব শিগগিরই আধূনিক শহরে পরিণত হবে। শুভ কামনা রইলো
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ মোশাররফ ৩ মার্চ, ২০২০, ৪:০৬ এএম says : 0
    অভিনন্দন সরকারকে। এগিয়ে যাক দুরবার গতিতে।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফ ৩ মার্চ, ২০২০, ১০:০৮ এএম says : 0
    উদ্যোগ সময়ের দাবী কিন্তু, জাপানকে বাদ দিয়ে চায়নাকে আনাটা বোধহয় ঠিক হয়নি। যেহেতু জাপান বর্তমা মেট্রো রেলের কাজ করছে আর জাপানিদের টেকনোলজী চায়নার ছেয়ে ভালো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ