Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এনু-রূপন ৬ দিনের রিমান্ডে ক্যাসিনোকান্ড

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকান্ডের অন্যতম হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় গেন্ডারিয়া থানার মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম প্রত্যেকের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব-৩ এর একটি দল ১১৯ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে অভিযান চালায়ে ৫ সিন্দুক ভর্তি ২৭ কোটি টাকা এবং সাড়ে ১২কেজি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে ৫ কোটি টাকারও বেশি এফডিআর।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এনামুল ও রুপন মতিঝিলের বিভিন্ন ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে আসছিলেন। ওই অবৈধ টাকার একাংশ দিয়ে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে সোনা কিনে তাদের বাসায় জমা রাখেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে এই অপকর্ম আড়াল করার জন্য টাকা ব্যাংকে না রেখে বাসার লোহার গোপন লকারে রেখেছিলেন। ওয়ারী থানার পুলিশ ঢাকার আদালতে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়েছে, আসামিদের বাসা থেকে জব্দ করা সোনার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। এই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য, এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কিনা জানার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রূপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রূপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুক ভর্তি প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার হন এনু-রূপন দুই ভাই। র‌্যাবের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সিন্দুকে পাওয়া ওই টাকার উৎস ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর। টাকা রাখতে জায়গা বেশি লাগে বলে কিছু অংশ দিয়ে স্বর্ণ কিনে রাখতেন তারা। ওই ঘটনার পর মোট সাতটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চারটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ