Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পুঁজিবাজারে আসছে ওয়ালটন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক খাতের বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে ভালো কোম্পানিগুলোর বাজারে আসা খুবই জরুরী। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে শিগগিরই বাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে লাভজনক সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি আরো সরকারি ও বেসরকারি ভালো প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। ফলে, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঙ্কট কাটছে না। আর সেই আস্থার সংকট কাটাতেই পুঁজিবাজারে আসছে দেশের স্বনামধন্য ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ইতিমধ্যে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটনের বিডিং সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওয়ালটন। ব্যবসা স¤প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে ব্যয় হবে এই অর্থ। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের শক্তিশালী আর্থিক প্রতিবেদনের নিরিখে কোম্পানির কাট অফ প্রাইজ নির্ধারিত হয়েছে ৩১৫ টাকা। শেয়ারবাজারে দেয়া কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এভং টার্নওভার ছিল ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটনের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে ২৯০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে ওয়ালটনের টার্নওভার ছিল ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকার রিফ্রিজারেটর বিক্রি হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
টার্নওভার ও মুনাফা বৃদ্ধির পেছনে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ অবদান রেখেছে বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের হেড অব অ্যাকাউন্টস ইয়াকুব আলী। তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সকে ওয়ালটন হাই-টেকের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাই গত অর্থ বছরে স্বাভাবিকভাবেই ২০১৭-১৮ বছরের তুলনায় কোম্পানির টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে।
কোম্পোনির প্রসপেক্টাসের তথ্যানুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটন হাইটেকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার কাছে পণ্য বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০২ কোটি টাকার। একই বছরে ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির রিসিভাবল অ্যামাউন্ট ছিল ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ৪৪০ কোটি টাকা।  
ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করে কার্যক্রম পরিচালনা করায় টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ ধরনের সেলস নেটওয়ার্ক। প্লাজা, পরিবেশক, কর্পোরেট, অনলাইন এবং আন্তর্জাতিক বিপণন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়ালটন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ