Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঠেলে পার করতে হয় গাড়ি

দেবে গেছে সেতু

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

সংযোগ সড়ক থেকে দেবে গেছে সেতু। ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। বন্যার পানির তোড়ে সেতুটি দেবে গেছে সড়ক থেকে। সরে গেছে সংযোগ সড়কের গোড়ার মাটিও। এখন গাড়ি উঠলেই কাঁপে সেতু। এ জন্য যাত্রী নামিয়ে ঠেলে সেতু থেকে সড়কে তুলতে হয় গাড়ি। এই চিত্র রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মুহাম্মদ শাহ (রহ.) সড়কের সামমাহালদারপাড়া ছোবহান দফাদারহাট সেতুর। ২০১৭ সালের জুন মাসে বন্যার পানির স্রোতে সেতুটি দেবে যায়। এরপর থেকে ভোগান্তির শুরু। ৯ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল এই সেতু দিয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির দুই পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে ১০ থেকে ১২ অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত কার। সবগুলো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। হেঁটেই সেতু পার হচ্ছেন যাত্রীরা। আর স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতায় ঠেলে গাড়িগুলো সেতু থেকে ওঠানো হচ্ছে সড়কে। সেতু থেকে সড়কটি কয়েক ফুট দেবে গেছে।
ব্যক্তিগত একটি গাড়ির চালক রহিম উল্লাহ বলেন, ‘আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে সেতু পার হয়েছি। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা না পেলে গাড়ি নিয়ে সড়কে উঠতে পারতাম না।’
অটোরিকশাচালক নাজিম বলেন, ‘ভাঙা সেতুর কারণে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে ইচ্ছে করে না। তবুও যাত্রীদের সুবিধার্থে গাড়ি চালাই।’ অটোরিকশার যাত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ‘বাচ্চাকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। গত আড়াই বছর ধরে প্রতিদিন এই ভোগান্তি আমাদের পোহাতে হচ্ছে। এই সেতুর গোড়ায় এলে গাড়ি থেকে নেমে সেতু পার হতে হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ওই ইউনিয়নের কচুখাইন, উত্তর কচুখাইন, পশ্চিম কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, খন্দকারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, সামমাহালদারপাড়া, মোকামীপাড়া ও সাদারপাড়ার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এ ছাড়া প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, সেতুটি কয়েক দফায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের লোকজন পরিদর্শন করে ঢাকায় বরাদ্ধ ও ঠেন্ডার আহবানের জন্য কাগজ পত্র টাটিয়েছেন। তিনি জানান, আগামি ১৫ দিনের মধ্য দরপত্র আহবান হতে পারে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি নতুনভাবে তৈরি করতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। সেতুটির নকশা করে পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। বরাদ্দ হলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে।



 

Show all comments
  • jack ali ২২ মার্চ, ২০২০, ১১:৫১ এএম says : 0
    Our Government is really developing our country -- our country is the best in the world??????????????????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাড়ি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ