Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার ‘বন্ধ’, ফার্মেসিতেই চিকিৎসা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৭ পিএম

করোনার প্রভাব পড়েছে কুষ্টিয়ার ডাক্তার পাড়াতেও। শহরের ডাক্তারপাড়া হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়ার কলেজ মোড়ের অধিকাংশ চিকিৎসক নিরাপত্তাজনিত কারণে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা চেম্বারের সামনে বন্ধের নোটিশও টানিয়ে দিয়েছেন।

এতে বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শ্রেণীর রোগীরা।

নিরূপায় হয়ে এসব রোগী এখন ভিড় করছেন স্থানীয় ফার্মেসিতে। রোগের আলামত বলে ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতারা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ফার্মেসীতে।

গত সোমবার পর্যন্ত জেলার কলেজ মোড় , কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পূর্ব- উত্তর পাশে, পেয়ারতলা, নবাব সিরাজদ্দৌলা সড়ক (এন.এস.রোড) এলাকায় অসংখ্য প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তাররা নিজেদের প্রোটেকশন রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে।কিন্তু মঙ্গলবার থেকে করোনারভাইরাসের(কোভিড-১৯) প্রভাব সারা দেশে পড়লে কুষ্টিয়ার অধিকাংশ প্রাইভেট ডাক্তাররা নিজেদের চেম্বার বন্ধ করে রেখেছেন।

সামান্য কয়েকজন ডাক্তার প্রাইভেট রোগী দেখছেন বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় শহর ও গ্রামের রোগীরা ফার্মেসির উপর ভরসা রাখছেন। ফার্মেসিতে বলে প্রাথমিক ওষুধ নিচ্ছেন বলে বেশ কয়েকজন রোগী জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া কলেজ মোড়ে শাপলা মেডিকেল হলের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, প্যারাসিটামল বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা কাউকে কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিচ্ছি না। পরিচিত কোন ডাক্তার ফোন করে বললে আমরা তখন অন্য কোন ওষুধ দিচ্ছি রোগীদের। তবে তিনি জানিয়েছেন, অনেক রোগী প্রতিদিন বিভিন্ন রোগ নিয়ে দোকানে ভিড় করেন।

একই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামের এক ব্যক্তি পেটে ব্যথা নিয়ে বাড়িতে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে কুষ্টিয়ার বেশ কয়েকজন ডাক্তার দেখিয়েছেন। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায় এখন ব্যাথা আরও বাড়ছে। এখন অন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারছেন না চেম্বার বন্ধের কারণে।
তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। যার কারণে উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তারের উপর তিনি ভরসা রাখতে পারছেন না।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, অনেকে রোগী দেখছেন। কিন্তু আমরা কাউকে জোর করে রোগী দেখতে বলতে পারব না। কারণ রোগী দেখতে করোনাভাইরাস থেকে ডাক্তাররা নিজেদের নিরাপদ রাখতে যে ধরণের প্রোটেকশন জরুরি সেগুলো বাজারে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার নিজেকে নিরাপদ রাখতে একেকটি প্রোটেকশন একবারই ব্যবহার করা যায়। এছাড়া অনেক রোগী তার রোগের পূর্ব হিষ্ট্রি লুকিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, তারপরও অনেক ডাক্তার নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

কুষ্টিয়ার জেলার সিভিল সার্জন জানান, কুষ্টিয়ার সকল সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সকল হাসপাতালে যাতে মানুষ চিকিৎসা পায় সে নির্দেশনা আমরা জানিয়ে দিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ