Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লকডাউন কক্সবাজার

বিধিনিষেধ মানছেন না এনজিও কর্মকর্তারা

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনা আক্রান্তকে ঢাকায় স্থানান্তর

করোনা সতর্কতায় লকডাউন কক্সবাজারে বিদেশি এনজিও কর্মকর্তারা মানছেন না কোন বিধিনিষেধ। করোনাভাইরাসের সতর্কতায় বলতে গেলে পুরো কক্সবাজার এখন লক ডাউন। এতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, দোকানপাটসহ সব ধরনের গণযোগাযোগ কেন্দ্রগুলো।
এদিকে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক রোগীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালের ১০ ডাক্তারসহ ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে কক্সবাজারের অধিকাংশ বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রও। পর্যটন শহর কক্সবাজার এখন ভুতুড়ে-নিস্তব্ধ। কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল এবং বিস্তীর্ণ সৈকত এলাকা এখন নির্জীব। নগরীর অলি-গলিতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর মাঝেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত কিছু কিছু বিদেশি এনজিও কর্মকর্তাকে দিব্যি কক্সবাজার শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। গাড়িতে করে এবং ইজিবাইকে করে তাদেরকে ঘোরাফেরা করতে দেখে জনগণ। গতকালও এরকম কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দোকানে এবং অলিতে-গলিতে দেখে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অথচ জানা গেছে এই বিদেশি এবং বিদেশ ফেরৎ লোকজনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদেশিরা এবং বিদেশ ফেরত লোকজনই করোনাভাইরাস সংক্রমণের একমাত্র মাধ্যম। এখন কক্সবাজার ও উখিয়া টেকনাফের লোকজন বিদেশিদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ পাঁচ সহস্রাধিক বিদেশি নিয়মিত উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যাতায়াত করে থাকে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত।
এছাড়াও সম্প্রতি পাঁচ শতাধিক কক্সবাজারের অধিবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের অনেকেই প্রশাসনের নজরের বাইরে রয়ে গেছেন। আবার কিছু কিছু ব্যক্তিকে প্রশাসন কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে এসেছেন। কোয়ারান্টাইন অমান্য করায় কাউকে কাউকে জরিমানাও করেছেন। বিদেশ ফেরত পালিয়ে বেড়ানো এই লোকগুলোও কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণের মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত একমাত্র রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মুসলিমা খাতুন (৭০) নামের ওই মহিলার করোনা ধরা পড়ে গত মঙ্গলবার। তিনি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মরহুম রশিদ আহমদের স্ত্রী। ১৩ মার্চ তিনি পবিত্র ওমরাহ সমাপ্ত করে সউদী আরব থেকে দেশে ফেরেন।

২১ মার্চ জ্বর, কাঁশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য ২২ মার্চ ঢাকা আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। গত মঙ্গলবার পাঠানো রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
রোগীর ছেলে ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ সোলাইমান হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে ফোনে জানান, ঢাকা থেকে আসা চিকিৎসকদের দেয়া কিছু ঔষধ খাওয়ার পর তার মায়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত হতে অন্যান্য অসুখের সাথে প্রচন্ড ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এই রোগীর সেবাদানকারী চিকিৎসক ও তার সাথে থাকা একমাত্র মেয়ের কোভিড-১৯ নেগেটিভ বলে জানা গেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ