গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে করোনাভাইরাস নিয়ে নেতিবাচক প্রচারনা করার দায়ে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লিফলেট ও তাদের বহনকারী একটি পিক-আপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন-মো. আওকাত হোসাইনকে (৫৩), মো. ফেরদাউস হাসান টিটু(২৫), মো. তাওহিদুল ইসলাম (২৫), মো. মুসলিম উদ্দিন (২৩), মো. মফিজুল ইসলাম (২০) ও মো. ফরিদ হোসেন (২০)। তারা ৩২ টি পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা শহরে এই লিফলেট বিতরণ করছিল বলে জানায় পুলিশ।
ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম শামীম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মো. আওকাত হোসাইনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণের সময় হাতেনাতে আটক করেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে বাকীদের আটক করা হয়।
তিনি বলেন, জব্দ লিফলেটে করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব বানী লিপিবদ্ধ আছে যা জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ও ছোঁয়াচে রোগ বিস্তারের পক্ষে সহায়ক। লিফলেটের এক স্থানে বলা হয়েছে, “করোনা ভাইরাস হলো দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষীদের জন্য এক কঠিন গযব।”।
তিনি আরো বলেন, এক পাতার লিফলেটে আরো বলা হয়েছে, “ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করা হারাম, কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত।”
কাদের ইন্ধনে এই প্রচারনা এমন প্রশ্নের উত্তরে এসএম শামীম জানান, আটককৃতরা জানান ‘রাজারবাগী হুজুর’ নামের এক ব্যক্তির প্ররোচনায় তারা এমন প্রচারনায় সামিল হয়েছেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জীবন বিপন্নকারী মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন বিদ্বেষমূলক কাজের জন্য এবং জন উপদ্রব সৃষ্টির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও রমনা থানায় দুটো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।