Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জনগণের আস্থা যখন অনেক বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সুইডিশ সরকারের ওপর সেখানকার জনগণের আস্থা অনেক বেশি। ফলে তারা নিজে থেকেই নির্দেশাবলী মেনে চলে। জনসংখ্যার একটি বৈশিষ্ট্যও এক্ষেত্রে গুরত্বপ‚র্ণ। ভ‚মধ্যসাগর তীরবর্তী দেশগুলোয় একটি বাড়িতে কয়েক প্রজন্মের লোক বাস করেন। কিন্তু সুইডিশ বাড়ির অর্ধেকেই লোক থাকেন মাত্র একজন। এর ফলে পুরো পরিবারে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক কম। তাছাড়া সুইডিশরা বাড়ির বাইরের জীবন ভালোবাসে এবং লোকের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখাটাকে সরকারি কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরত্ব দেন। ইউরোপের এই দেশটিতে এ সপ্তাহে শহরের নাইটক্লাবগুলোও খোলা ছিল। তবে রোববার থেকে ৫০ জনের বেশি লোক জড় হওয়া নিষিদ্ধ হয়েছে। অবশ্য এটা বলতেই হবে শহরগুলো কেমন যেন শীতল, লোকজনের হৈচৈ আর ব্যস্ততা বেশ কম। শহরের গণপরিবহন কোম্পানি এসএল বলছে, ট্রেন আর সাবওয়েতে লোকজন কমে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। শহরের প্রায় অর্ধেক লোক ঘরে বসে কাজ করছে। সুইডেনের কর্মক্ষম জনশক্তি প্রযুক্তির ব্যয়ভার এবং বাড়িতে বসে রিমোট-ওয়ার্কিং করতে অভ্যস্ত। ব্যবসা-সংক্রান্ত একটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এসবিআর-এর প্রধান নির্বাহী স্টাফান ইংভারসন বলছেন, যে কোম্পানিরই এটা করার ক্ষমতা আছে, তারা এটা করছে, এবং তাতে কাজও হচ্ছে। আসলে এটাই হচ্ছে সুইডেনের সরকারি স্ট্রাটেজির ম‚ল কথা - নিজের দায়িত্ববোধ। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশা করছে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করেও এভাবেই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা যাবে। কঠোর নিয়ম-কানুন না করে এখানে দেয়া হচ্ছে নির্দেশিকা। যেমন-অসুস্থ বা বয়স্ক হলে ঘরে থাকা, বারবার হাত ধোয়া, অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করা, বাড়িতে বসে কাজ করা। প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেন এক টিভি ভাষণে বলেছেন, বড়দের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আতঙ্ক সৃষ্টি করবেন না এবং গুজব ছড়াবেন না। এ সংকটে কেউ একা নয়, সবারই বড় দায়িত্ব আছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুইডিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ